কীভাবে দেখা হয় কাজল-অজয়ের? কাজল জানিয়েছেন, ২৫ বছর আগে হালচাল ছবির সেটে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ। শটের জন্য তৈরি হয়ে তিনি জিজ্ঞেস করেন, আমার নায়ক কই। দেখেন, এক কোণে মুখ গোমড়া করে একজন বসে। এরপর আস্তে আস্তে আলাপ বাড়ে, বন্ধুত্ব হয়। দুজনেই তখন অন্য দুজনের সঙ্গে প্রেম করছিলেন। অজয়ের কাছে তখনকার বয়ফ্রেন্ডের নামে নিন্দেও করেন তিনি!
অল্পদিনের মধ্যে পুরনো সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসেন দু’জনেই। কেউ কাউকে প্রপোজ করেননি কিন্তু কেমনভাবে যেন বুঝতে পারেন, তাঁদের এক সঙ্গে থাকতে হবে। তাঁরা থাকতেন একে অপরের থেকে বহু দূরে, অজয় জুহুতে, কাজল দক্ষিণ মুম্বইতে। তাই গাড়িতেই হত দেখা সাক্ষাৎ। কাজলের বন্ধুরা অজয়ের থেকে সাবধান হতে বলতেন, ক্যাসানোভা বলে তাঁর নাকি ‘খ্যাতি’ ছিল। কিন্তু কাজলের সঙ্গে তাঁর ব্যবহার ছিল সম্পূর্ণ অন্যরকম।
৪ বছর প্রেমের পর তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। অজয়ের বাবা মায়ের সম্মতি ছিল, আপত্তি ছিল কাজলের বাবার। বাবা চেয়েছিলেন, মেয়ে কেরিয়ারে গুরুত্ব দিন। এ নিয়ে ৪ দিন কথা বন্ধ রাখেন। কিন্তু কাজল অনড় থাকায় মেনে নিতে বাধ্য হন তিনিও। বাড়িতেই তাঁদের বিয়ে হয়। যদিও বিষয়টি ব্যক্তিগত রাখার জন্য সংবাদমাধ্যমকে বিয়েবাড়ির ভুল ঠিকানা দিয়েছিলেন। বিয়ে হয় পঞ্জাবি ও মারাঠি মতে। তাঁর মনে আছে, প্রদক্ষিণের সময় অজয় খুব চেষ্টা করছিলেন, বিয়ে যেন তাড়াতাড়ি শেষ হয়, এমনকী পুরোহিত মশাইকে ঘুষ দিতেও পিছপা ছিলেন না তিনি!
কভি খুশি কভি গম-এর সময় কাজল অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। কিন্তু গর্ভপাত হয়ে যায়। ছবি দারুণ হিট হয় কিন্তু তিনি ছিলেন হাসপাতালে। সময়টা সুখের ছিল না। ফের আর একবার গর্ভপাত হয় তাঁর। শেষমেষ আসে নাইসা আর যুগ, এখন তাঁদের পরিবার সম্পূর্ণ।
নানা ঝড়ঝাপটা এক সঙ্গে সামলেছেন দুজনে। অজয় তাঁর ১০০তম ছবি করছেন, প্রতিদিন কিছু না কিছু নতুন করে তৈরি করছেন তাঁরা। তাঁরা কেউ বাড়াবাড়িরকম রোম্যান্টিক নন, একে অপরের খেয়াল রাখেন। যদি তাঁর মাথায় বোকা বোকা কিছু আসে, ঝপ করে বলে ফেলেন সেটা। এখন যেমন তিনি ভাবছেন, একবার মিশর যাবেন, অজয় বেঁকে বসায় তাঁদের হানিমুনের মিশর ট্যুর অসম্পূর্ণ আছে এখনও!