মুম্বই: আইন লঙ্ঘন করেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। মুম্বইয়ে তাঁর ৩টি ফ্ল্যাট সংযুক্তিকরণের ঘটনায় এই পর্যবেক্ষণ আদালতের। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ নিষ্প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি এল এল চাওয়ান । কোর্টের এই পর্যবেক্ষণের জেরে ফের বৃহন্মুম্বই পুরসভার সঙ্গে অভিনেত্রীর সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।


বাড়ি ভাঙার বিষয়ে স্থগিতাদেশের আবেদন করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কঙ্গনা। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে মুম্বই শহরতলিতে দিনদোশী আদালত। উল্লেখ্য, ৩টি ফ্ল্যাট সংযুক্ত করে ১টি ফ্ল্যাট করেছেন অভিনেত্রী। শুনানিতে কোর্ট বলেছে, বাড়ি সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে মারাত্মকভাবে নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে।


গত সপ্তাহে স্থগিতাদেশ চেয়ে গত সপ্তাহে কোর্টের দ্বারস্থ হন কঙ্গনা। সূত্রের খবর, আগামী বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার রায় দেবে আদালত। বিচারপতি চাওয়ান বলেন, ১৬ তলা একটি বিল্ডিংয়ে ৫ তলায় ৩টি ফ্ল্যাট ছিল অভিনেত্রীর। ওই ৩টি ফ্ল্যাট ভেঙে একটি ফ্ল্যাট করেছেন তিনি। আর এটা করতে গিয়ে অন্যদের ব্যবহার করার জায়গাও দখল করেছেন তিনি। যে পরিকল্পনামাফিক এই কাজ করা হয়েছে, তা  বেআইনি।


২০১৮ সালের মার্চে খারের কঙ্গনার ফ্ল্যাটে বেআইনি নির্মাণের নোটিশ টাঙায় বৃহন্মুম্বই পুরসভা। আসল প্ল্যান অনুযায়ী তাঁকে ফ্ল্যাট পুননির্মাণের কথাও বলে পুরসভা। পুরসভা জানিয়ে দেয়, নির্দেশিকা না মানলে বাড়ি ভাঙা হবে।  গত ২৩ ডিসেম্বর এই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন কঙ্গনা। কিন্তু এই আবেদন খারিজ করে বিচারপতি বলেন, এই বিষয়ে কোর্টের হস্তক্ষেপ নিষ্প্রয়োজন।


যদিও এর আগে বম্বে হাইকোর্ট জানিয়েছিল, উদ্দেশ্য়প্রণোদিতভাবে অভিনেত্রীর বাড়ি ভাঙা হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর, মণিকর্ণিকার সেটের একটি অংশ ভাঙা হয়, যে ছবির প্রযোজক কঙ্গনা নিজেই। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তোলে বৃহন্মুম্বই পুরসভা। পুরসভা বেআইনি নির্মাণ বলে নোটিশও টাঙায়। সে সময় মুম্বইয়ে ছিলেন না কঙ্গনা। মানালি থেকে ফেরেন তিনি। সে সময় তাঁর পাশে দাঁড়ায় কেন্দ্রীয় সরকার। অভিনেত্রীকে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হয়। মুম্বই ফিরেই বৃহন্মুম্বই পুরসভার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেন কঙ্গনা। ক্ষয়ক্ষতির দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।