মুম্বই: করোনা সংক্রমণ নিয়েই চতুর্দিকে পার্টি করে বেড়ানোর পর ধরা পড়ে গিয়ে কণিকা কপূর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটা করে ঘোষণা করেন, তাঁর করোনা হয়েছে। তা নিয়ে অনলাইনে টানা ট্রোলিং চলছে তাঁর। সেলিব্রিটি গায়িকা যেভাবে সব জেনেশুনে অসংখ্য মানুষকে বিপদের মুখে ফেলেছেন তা কেউ মেনে নিতে পারছেন না।

পোস্টে কণিকা লিখেছিলেন, তিনি ও তাঁর পরিবার পুরোপুরি কোয়ারান্টাইনে রয়েছে, সবরকমভাবে তাঁরা মেনে চলছেন চিকিৎসকদের উপদেশ। যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে তাঁদের খবর নেওয়ার চেষ্টা চলছে। অথচ সত্যি হল, ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসার পর কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ অগ্রাহ্য করে কণিকা ইচ্ছেমত পার্টি করেছেন। সেই সব পার্টিতে যে সব ভিআইপিরা ছিলেন তাঁরা চলে গিয়েছেন কোয়ারান্টাইনে, সকলের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। লখনউয়ে তাঁর বাড়িও এখন কোয়ারান্টাইনে। প্রশাসন জানার চেষ্টা করে হয়রান হচ্ছে, তিনি আর কার কার সংস্পর্শে এসেছেন। ট্রোলিংয়ের মুখে সেই পোস্ট উড়িয়েছেন তিনি।

এমনকী তিনি ইচ্ছে করে বিমানবন্দরে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করাননি বলে অভিযোগ, ইংল্যান্ড থেকে ঘুরে আসার কথাও গোপন করে যান। কণিকার অবশ্য দাবি, ৯ তারিখ তিনি যখন ইংল্যান্ড থেকে ফেরেন, তখন কোনও কড়াকড়ি ছিল না। তিনি বাথরুমে লুকিয়ে স্ক্রিনিং এড়িয়েছিলেন বলে যা বলা হচ্ছে, তাও বাজে কথা, কারণ ওভাবে আন্তর্জাতিক উড়ান থেকে নেমে এসে স্ক্রিনিং ফাঁকি দেওয়া যায় নাকি! মুম্বইয়ে তিনি একদিন ছিলেন কিন্তু করোনার ভয়ে সব কিছু বন্ধ থাকায় বাবা মায়ের ডাকে লখনউয়ের বাড়ি যান। মাত্র দিনকয়েক আগে তাঁর শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা দিয়েছে, আগে থেকে কিছুই তিনি জানতেন না।

কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া এই সব যুক্তি শুনতে রাজি নয়। সোনম কপূর ও মিনি মাথুর কণিকার পক্ষ নেওয়ায় তাঁদের ট্রোলিং সহ্য করতে হয়েছে। এমনকী প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে কণিকার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে, তা দেখে অনেকে বলছেন, ওই যে, কণিকা গিয়ে চার্লসের শরীরে করোনা ঢুকিয়ে দিয়েছেন। কেউ শুনতেই চাইছেন না, ছবিটি এখনকার নয়, ২০১৮-র!