প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর আর কে ধীমান জানিয়েছেন, কণিকাকে শ্রেষ্ঠ সুযোগসুবিধে দেওয়া হচ্ছে, ঘর নোংরা, মশা মাছি ভর্তি বলে তাঁর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বরং ৪ ঘণ্টা অন্তর অন্তর ঘর পরিষ্কার করা হচ্ছে তাঁর। তাঁকে দেখাশোনার জন্য যে কর্মীরা রয়েছেন তাঁরা অ্যান্টি ইনফেকশন ইকুইপমেন্ট পরে রয়েছেন বলে শিফট চলাকালীন কিছু খাওয়া তো দূরের কথা, জল পান করতেও পারছেন না। ৪ ঘণ্টা ধরে চলছে এক একটা শিফট, শিফট শেষে পোশাক পালটে তবে তাঁরা খাবার মুখে তুলতে পারছেন। বিবৃতি দিয়ে তিনি আরও বলেছেন, হাসপাতালের পক্ষে যতটা সম্ভব ততটাই সুবিধে দেওয়া হচ্ছে কণিকা কপূরকে। নিজের ভালর জন্যই তাঁকে রোগী হিসেবে সহযোগিতা করতে হবে, তারকাসুলভ আচার আচরণ ও নাক উঁচুভাব বন্ধ করতে হবে।
কণিকাকে গ্লুটেন ফ্রি খাবার দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আলাদা ঘরে রাখা হয়েছে তাঁকে, রয়েছে আলাদা বাথরুম, এসি ও টেলিভিশন। আলাদা এয়ার হ্যান্ডলিং ইউনিটও। তাঁকে যতটা সম্ভব যত্নআত্তি করা হচ্ছে কিন্তু তাঁরও মাথায় রাখতে হবে, হাসপাতালে তিনি তারকা নন, শুধু রোগী। সেইমত আচরণ করতে হবে।
লন্ডন থেকে ফিরে কণিকা যখন পার্টি করে বেড়াচ্ছিলেন, তখন যাঁরা যাঁরা তাঁর সংস্পর্শে আসেন তাঁদের খোঁজ করছে পুলিশ। মোটামুট এমন ১৬০ জনের খোঁজ পেয়েছে তারা। করোনায় আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও আধিকারিকদের নির্দেশ অমান্য করে পার্টি করে বেড়ানোয় কণিকার বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে।