নয়াদিল্লি: হয়েছে সামান্য জ্বরজারি। আপনি চিন্তায় অস্থির, করোনা হয়েছে। আর ভয়ের আরও কারণ, সর্দি জ্বরের যা যা লক্ষণ, হুবহু সেই একই লক্ষণ করোনারও। সেই গায়ে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা। তা হলে কী করে বুঝবেন, কোনটা সাধারণ জ্বর, কোনটা করোনা? জানার বিশেষ উপায় নেই, কারণ লক্ষণ একই।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, প্রতি বছর গোটা বিশ্বে ৩০-৫০ লাখ মানুষ ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হন। এঁদের মধ্যে ২ লাখ ৯০ হাজার থেকে ৬ লাখ ৫০ হাজারের মৃত্যু হয় শ্বাস প্রশ্বাস সংক্রান্ত অসুখ থেকে। ঘরে থেকে বিশ্রাম নিয়ে বা ওষুধ খেয়ে এই সব সমস্যা মিটে যাওয়ার কথা। এমনকী ২ সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যায় নিজে থেকেই। কিন্তু করোনার নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ এখনও বার হয়নি। গোটা বিশ্বের বৈজ্ঞানিকরা চেষ্টা করছেন এই অসুখের ওষুধ বার করার।

সাধারণ জ্বর, ঠাণ্ডা লাগার থেকে করোনা অনেক বেশি বিপজ্জনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে অজানা বিপদ আখ্যা দিয়েছে। জামা নামে এক মার্কিন পত্রিকায় ২৮ ফেব্রুয়ারি একটি রিপোর্ট বার হয়। তাতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৮৩-৯৮ শতাংশ লোকের শরীরে জ্বর দেখা দেয়। ৭৬-৯২ শতাংশ লোকের থাকে শুকনো কাশি, ১১-৪৪ শতাংশের ক্লান্তিভাব, পেশিতে ব্যথা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কাশি বা সর্দির লক্ষণ দেখে বোঝা সম্ভব নয়, তা সাধারণ ঠাণ্ডা লাগা না করোনাভাইরাস। দু’ক্ষেত্রেই লক্ষণ শ্বাসকষ্ট। তবে করোনা হলে জ্বর বাড়তে থাকে দ্রুত, কাশি, ক্লান্তি, গায়ে ব্যথার পাশাপাশি কখনও কখনও বমিও হতে পারে। দু’ক্ষেত্রেই নিউমোনিয়াও দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

দু’ক্ষেত্রেই অসুস্থতা অল্পদিন ধরে চলতে পারে বা দীর্ঘদিন ধরে. সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। তবু ফ্লু ও করোনা আলাদা। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, কোভিড-১৯-এর কারণ শুধু একটি ভাইরাস। ফ্লুয়ের ক্ষেত্রে ভাইরাস একাধিক, তাদের চরিত্রও আলাদা হতে পারে।