করাচি: ভরদুপুরে তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল করাচি (Karachi Blast)। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত কমপক্ষে ২০ জন। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। ধ্বংস্তূপে এখনও বেশ কিছু মানুষ আটকে রয়েছেন বলে খবর।
শনিবার দুপুরে পাকিস্তানের (Pakistan) করাচি শহরের শেরশাহ এলাকার পরচা চকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। শেরশাহের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক জাফর আলি শাহ জানিয়েছেন, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের পাশের নালার কাছে বিস্ফোরণটি ঘটে। সেখানে একটি পেট্রলপাম্পও ছিল। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই ওই ব্যাঙ্কের কর্মী এবং গ্রাহক।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে ব্যাঙ্ক এবং পেট্রলপাম্পটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এর পিছনে সন্ত্রাসযোগ দেখছে না পুলিশ। বরং প্রাথমিক তদন্তের পর তাদের ধারণা, ব্যাঙ্ক এবং স্থানীয় বিল্ডিংয়ের নীচে দিয়ে বয়ে যাওয়া নালায় বিষাক্ত গ্যাস পুঞ্জীভূত হয়েই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে পূর্ণ লকডাউনের পরামর্শ নেদারল্যান্ডসের বিশেষজ্ঞদের
বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। গোটা এলাকা খালি করে দেয় তারা। তড়িঘড়ি এসে পৌঁছয় বম্ব স্কোয়াডও। বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখছে তারা।
সিন্ধের মুখ্যমন্ত্রী মুরাজ আলি শাহও এই বিস্ফোরণের ঘটনায় আলাদা করে কমিশনার পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। আহতরা যাতে নিখরচায় চিকিৎসা পান, তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রদেশের মুখ্যসচিবকে।
বিস্ফোরণস্থল থেকে ইতিমধ্যেই একাধিক ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। তাতে ধোঁয়া এবং ধ্বংসস্তূপের সামনে দাঁড়িয়ে ক্যামেরা ফোনে ছবি তুলতে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু মানুষকে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া একাধিক গাড়িও দেখা গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়রাও।