বেঙ্গালুরু: বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে রাজনীতির পারদ তুঙ্গে। কর্নাটকে মুখোমুখই বিজেপি এবং কংগ্রেস (Karnataka Assembly Elections)। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গিয়ে প্রচার করে এসেছেন বিজেপি-র হয়ে। কংগ্রেসের তরফে রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী প্রচারের কামান সামলাচ্ছেন ঘাড়ে করে। কার পাল্লা ভারী, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। সেই আবহেই সামনে এল সি ভোটারের সমীক্ষা। তাতে গতবার জেডিএস-এর সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতায় আসা কংগ্রেস, এবার একার জোরেই ম্য়াজিক ফিগার পেরিয়ে যেতে পারে বলে মিলেছে ইঙ্গিত (Karnataka Elections 2023)।


আগামী ১০ মে সেই কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন


গত বিধানসভা নির্বাচনে কর্নাটকে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে এসেছিল বিজেপি। কিন্তু তাদের মাত দিয়ে সেখানে সরকার গঠন করে কংগ্রেস এবং জেডিএস জোট। রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী হন তৃতীয় স্থানে থাকা দল জেডিএসের এইচ ডি কুমারস্বামী। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই অবশ্য় জোট সরকারে ভাঙন ধরিয়ে, ক্ষমতা দখল করে বিজেপি।


আগামী ১০ মে সেই কর্নাটকেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে প্রচারে খামতি রাখছে না কোনও দলই। কিন্তু, কর্নাটকবাসী কী ভাবছেন? তার আভাস পেতেই সেই রাজ্য়ে সমীক্ষা চালিয়েছে সি ভোটার। ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় ম্য়াজিক ফিগার ১১৩। সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে, ১১০ থেকে ১২২টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে কংগ্রেস। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপি পেতে পারে ৭৩ থেকে ৮৫টি আসন। জেডিএস-এর ঝুলিতে যেতে পারে ২১ থেকে ২৯টি আসন। ২ থেকে ৬ আসন পেতে পারে অন্যান্য দল (ABP C Voter)।


আরও পড়ুন: Manipur Violence: পুড়ে ছাই গির্জা, স্কুল, বাড়িঘর, শান্তির ফেরানোর আর্জি ‘লৌহমানবী’ শর্মিলার, মোদি-শাহকে আবেদন

সি ভোটারের সমীক্ষায় বলছে, রাজ্যে এ বার প্রথম স্থান দখল করতে পারে কংগ্রেস। তাদের ঝুলিতে যেতে পারে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট। বিজেপি-র প্রাপ্ত ভোট হতে পারে ৩৬ শতাংশ এবং জেডিএস ১৬ শতাংশ ভোট পেতে পারে। অন্য়ান্য় দলের ঝুলিতে যেতে পারে ৮ শতাংশ ভোট। সমীক্ষার সঙ্গে বাস্তবের ফল কতটা মেলে, সেটা বোঝা যাবে ১৩ মে, কর্নাটকে ফল ঘোষণার দিন।


আরও পড়ুন: Do You Know: জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


এ বার প্রথম স্থান দখল করতে পারে কংগ্রেস


২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল যদি সমীক্ষার সঙ্গে মিলে যায়, তাতে কংগ্রেসের হাত শক্ত হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ ২০১৪ সাল থেকে একের পর এক রাজ্য হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের। সম্প্রতি হিমাচলপ্রদেশে জয়লাভ করলেও, গুজরাতের মতো রাজ্যে সুবিধাজনক জায়গা থেকে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে কংগ্রেসের আসন। সেই আবহে প্রথমে রাহুলের 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র সাফল্যের প্রভাব যদি কর্নাটক নির্বাচনে পড়ে, তাতে কংগ্রেস লাভবান হতে পারে। বিরোধী জোটের প্রশ্নেও নিজেদের দাবি রাখার মতো জায়গায় পৌঁছতে পারবে তারা।