বেঙ্গালুরু: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে 'অপারেশন লোটাস' (Operation Lotus) নিয়ে উত্তাল কর্নাটক। BJP রাজ্যের নির্বাচিত কংগ্রেস (Congress) সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল। রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া খোদ এই অভিযোগ তুলেছেন। সিদ্দারামাইয়ার অভিযোগ, কংগ্রেসের বিধায়কদের মাথাপিছু ৫০ কোটি টাকা করে দেওয়া হবে বলে টোপ দিচ্ছে BJP, যাতে হাতশিবির ছেড়ে তাঁরা পদ্মশিবিরে যোগ দেন। (Siddaramaiah News)


একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এই দাবি করেছেন সিদ্দারামাইয়া। লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ফল আশানুরূপ না হলে কংগ্রেসের তাদের সরকার আদৌ টিকে থাকবে কি না সেই নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। সিদ্দারামাইয়াকেও সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি জানান, লোকসভা নির্বাচনের আগেই কর্নাটকে কংগ্রেসের সরকার ফেলে দিতে উদ্য়ত বিজেপি। বিধায়কদের ৫০ কোটি করে দেওয়ার লোভ দেখাচ্ছে।


সংবাদমাধ্যমে সিদ্দারামাইয়া বলেন, "গত এক বছর ধরে আমার সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে ওরা। আমাদের বিধায়কদের মাথাপিছু ৫০ কোটি টাকা দেওয়ার টোপ দিচ্ছে। অনেক চেষ্টা চালিয়েছে ওরা এতদিন, তাতে ব্যর্থ হয়েছে এযাবৎ।" যদিও সিদ্দারামাইয়ার বিশ্বাস, কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিতে পারবে না বিজেপি। বিধায়করা দলের প্রতি অনুগত। কেউ বিজেপি-তে যাবেন না।


আরও পড়ুন: ABP Cvoter West Bengal Opinion Poll: TMC vs BJP জোর লড়াই, রাজ্যের ৪২ আসনে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে, ইঙ্গিত সি ভোটার সমীক্ষায়


এবছর দু'দফায় লোকসভা নির্বাচন কর্নাটকে, ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় এবং ৭ মে তৃতীয় দফায়। প্রত্যেক দফায় ১৪টি করে আসনে ভোটগ্রহণ। এর আগে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সেখানে ২৫টি আসনে জয়ী হয়েছিল BJP. তৃতীয় বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরতে এবারও কর্নাটকে পদ্ম ফোটাতে মরিয়া তারা। সেই আবহেই ফের তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচিত সরকার ফেলে চেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল।


মার্চ মাসেও বিজেপি-র বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছিলেন সিদ্দারামাইয়া। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "আয়কর বিভাগ লাগাতার হানা দিচ্ছে। অসৎ শুধুমাত্র বিরোধী শিবিরের লোকজনই কি ধনী হয়েছেন? BJP-তে কি কেউ নেই? BJP আসলে দুর্নীতির পিতামহ। বিরোধী বিধায়কদের পদত্যাগে বাধ্য করে ওরা, নির্বাচনের সময় কোটি কোটি টাকা খরচ করে, পদত্যাগী বিধায়কদেরও কোটি কোটি টাকা দেয়। এখনও কর্নাটকে পদ্ম অভিযান চলছে। ৫০ কোটির বিনিময়ে আমাদের বিধায়কদের পদত্যাগ করতে বলে ওরা।" আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেও সেই ঘোড়া কেনাবেচার চেষ্টা চলছে বলে দাবি সিদ্দারামাইয়ার।