চামারাজনগর: ধনলক্ষ্মীর অপরাধ ছিল তিনি এমন এক জনকে ভালবাসতেন, যাঁকে নিয়ে আপত্তি ছিল তাঁর পরিবারের। কিন্তু শত বিরোধিতা-লাঞ্ছনা-গঞ্জনা সত্ত্বেও নিজের ভালবাসাকে ছাড়তে চাননি বছর চব্বিশের ওই যুবতী। তাই তাঁর হাতের চারটি আঙুল কেটে দিয়েছেন বাবা ও ভাইয়েরা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের চামারাজনগর জেলার হানুর তালুকে।


পুলিশ জানিয়েছে, সত্য নামে এক যুবককে ভালবাসেন ধনলক্ষ্মী। দু বছর ধরে তাঁদের প্রেম। এ বার তাঁরা ঠিক করেছিলেন বিয়ে করবেন। কিন্তু বাদ সাধেন ধনলক্ষ্মীর পরিজনেরা। অনেক বোঝানো, বকাবকি-হুমকির পরেও টলানো যায়নি ওই যুবতীকে। ধনলক্ষ্মী ও সত্য ঠিক করেছিলেন, সোমবার তাঁরা বিয়ে করবেন। সেই খবর পেয়ে গিয়েছিল যুবতীর পরিবার।

ইতিমধ্যেই বাড়ি ছেড়েছিলেন ধনলক্ষ্মী। গত শনিবার তাঁর বাবা ও ভাইয়েরা ধনলক্ষ্মীকে স্থানীয় একটি ওষুধের দোকানে দেখতে পান। সেখানে গিয়ে মেয়েকে একপ্রস্থ বোঝানোর চেষ্টা করেন বাবা ও ভাইয়েরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কিছু ক্ষণের মধ্যেই উভয় পক্ষের বাদানুবাদ শুরু হয়। আচমকা দুই ব্যক্তি ধনক্ষ্মীর দুই হাত চেপে ধরেন এবং ভাই ও বাবা মিলে তাঁর চারটি আঙুল কেটে দেন। সঙ্গে সঙ্গে এলাকার লোকজন ছুটে গিয়ে ধনলক্ষ্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।