কলকাতা: প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতির মধ্যেই, অনন্তনাগ ও পুলওয়ামায় বিস্ফোরণে উড়ল, পহেলগাঁওয়ে হামলাকারী দুই জঙ্গির বাড়ি। পহেলগাঁও হামলার ৭২ ঘণ্টার মধ্য়ে বড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা। বান্দিপোরায় সেনা অভিযানে খতম লস্কর জঙ্গি আলতাফ লাল্লি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বান্দিপোরায় লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডারকে গুলি করে মারল নিরাপত্তা বাহিনী। গুলির লড়াইয়ে জখম হয়েছেন দুই সেনা জওয়ানও।
এরই মধ্যে কাশ্মীরে হিন্দু নিধনের প্রত্যাঘাত নিয়ে হুঙ্কার নৌসেনার। এক্স সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বলা হয়েছে, 'ঐক্যের মধ্যেই শক্তি আছে। মিশন রেডি, যেকোনও জায়গায়, যেকোনও মুহূর্তের জন্য তৈরি'।
এদিকে, পহেলগাঁওকাণ্ডের প্রতিবাদে ফুঁসছে দেশ। ইতিমধ্যে অ্যাকশনে নেমে পড়েছে সেনা। উপত্যকায় চলছে অভিযান। তার মধ্যেই শক্তিপ্রদর্শনের নতুন ভিডিও পোস্ট ভারতীয় সেনার। বিকানেরে পাক-সীমান্ত পরিদর্শনও করেছে বিএসএফের আইজি।
দেশজুড়ে জোরালো হচ্ছে বদলার দাবি। কল্পনাতীত সাজা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এরইমধ্য়ে, রাজস্থানের মরুভূমিতে মহড়া করল ভারতীয় সেনা। থর মরুভূমির বুকে একের পর এক সেনা ট্য়াঙ্ক। ক্রমাগত গোলাবর্ষণ। আকাশে পাক খাচ্ছে হেলিকপ্টার। নেমে আসছে প্য়ারা কমান্ডো। সপ্তশক্তির গর্জনে যেন কেঁপে উঠবে পাকিস্তান। এরইমধ্য়ে শুক্রবার কাশ্মীরে পৌঁছন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। কথা বলেন সেনা ও পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে। বৈঠক করেন ডিজিপি ও জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্য়ান্ট গর্ভনরের সঙ্গে।
দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে পহেলগাঁও সন্ত্রাসের প্রতিবাদ বিদেশেও। ২৬ জনের মৃত্যুর প্রতিবাদে লন্ডনে পাক হাই কমিশনের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে স্লোগান তোলা হল 'ভারত মাতা কি জয়'। জমমু-কাশ্মীর থেকে জেরুজালেম, জেহাদিদের সন্ত্রাস গুঁড়িয়ে দেওয়া হোক, এই আর্জি নিয়ে সোচ্চার হলেন প্রবাসীদের অনেকে। তাঁদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, যাতে লেখা ছিল 'হিনদু লিভস ম্যাটার'। লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনের তরফেও নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়।