নয়াদিল্লি : "সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি। আমরা শুধু তাদের কাছেই পৌঁছাব না যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের কাছেও পৌঁছে যাব যারা পর্দার আড়ালে বসে ভারতের মাটিতে এই নৃশংসা ঘটনা ঘটানোর ষড়যন্ত্র রচনা করেছে।" পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা নিয়ে হুঙ্কার ছাড়লেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়ে দিলেন, "ভারতবাসীকে আমি এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে। আততায়ীরা শীঘ্রই খুব জোরাল ও স্পষ্ট জবাব পাবে।"
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, পহেলগাঁওয়ে কাপুরুষোচিত হামলায় আমরা অনেক নিরীহ প্রাণ হারিয়েছি। আমরা ভীষণ মর্মাহত। যাঁরা প্রিয়জনদের হারালেন সেইসব পরিবারের মানুষকে আমার সমবেদনা জানাই। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সংকল্প কী তা আরও একবার মনে করিয়ে দিতে চাই। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি আছে। দেশবাসীকে এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে। আমরা কেবল এই ঘটনার অপরাধীদেরই নয়, পর্দার আড়ালে থাকা লোকদের কাছেও পৌঁছে যাবে।... চক্রান্তকারীরা শীঘ্রই একটা জোরালো এবং স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া দেখতে পাবে, আমি দেশকে আশ্বস্ত করতে চাই।"
রক্তাক্ত ভূস্বর্গ !
ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ ! কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলা। সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে বাংলার ৩ জন-সহ ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধর্মীয় পরিচয় জেনে টার্গেট কিলিং হয়েছে, এমনই দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। জঙ্গিদের গুলিতে নিহত দক্ষিণ কলকাতার বৈষ্ণবঘাটা লেনের বাসিন্দা বিতান অধিকারী। কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে বেহালার সখেরবাজারের বাসিন্দা সমীর গুহর। জঙ্গি হানায় প্রাণ গেছে হায়দরাবাদে কর্মরত IB অফিসার পুরুলিয়ার বাসিন্দা মণীশ রঞ্জনের। জঙ্গিদের গুলিবৃষ্টিতে নিহতদের মধ্যে আছেন ২ জন বিদেশি নাগরিক। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় আহত অন্তত ২০ জন। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাস হামলায় প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। বিভিন্ন শহরে মোমবাতি মিছিল বেরিয়েছে। অন্যদিকে, রাজধানী দিল্লি-সহ দেশের একাধিক প্রধান শহর এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্কর ও জইশ ঘনিষ্ঠ জঙ্গি সংগঠন TRF-এর।