তিরুবনন্তপুরম : সমালোচনার ঝড়েও সিদ্ধান্তে অনড় রইলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। দ্বিতীয়বার শপথগ্রহণে 'বিশাল আয়োজনে'ই মত দিলেন পিনারাই বিজয়ন। যার ফলে নব নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে ট্রোল করতে ছাড়ল না সোশ্যাল মিডিয়া। সংক্রমণের সময় সবার জন্য নিয়ম সমান, মনে করালেন নেটিজেনরা।


৭৫০ থেকে সংখ্যাটা ৫০০-তে নেমেছে মাত্র। যদিও কোভিডকালে শপথগ্রহণে বিজয় উৎসবে অনড় রইলেন বিজয়ন। সোমবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টের সময় শপথগ্রহণ করবেন তিনি। ৫০০ আমন্ত্রিতকে নিয়ে হবে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। কোভিড বিধির কথা মাথায় রেখে সেন্ট্রাল স্টেডিয়ামে করা হয়েছে এই আয়োজন।


সম্প্রতি শপথগ্রহণে এই বিশাল আয়োজনের ইঙ্গিত পেতেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন বিজয়ন। করোনার মধ্যে ৭০,০০০ বর্গফুটের প্যান্ডেল তৈরির কী প্রয়োজন ? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। রাজ্যে লকডাউনের সময় এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।


যদিও এদিন সেই সমালোচনার উত্তর দেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ''রাজ্য মন্ত্রিসভাতেই ২১ জন সদস্য রয়েছেন। বাকি ১৪০ জন বিধায়ক ছাড়াও ২৯ জন সাংসদ রয়েছেন রাজ্যের। এখানেই তালিকা শেষ হচ্ছে না। বিচার বিভাগ ও প্রশাসনের আধিকারিক ও সংবাদ মাধ্যমকে ধরেই ৫০০ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তবে অনুষ্ঠানে আসতে গেলে করোনা বিধি মেনে সবার ৪৮ ঘণ্টা আগের কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট লাগবে। কারও নেগেটিভ রিপোর্ট না থাকলে ন্যূনতম ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ দেওয়া থাকতে হবে।'' অন্যথায় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না তিনি।


কেন কোভিডকালে এই বিশাল আয়োজন এদিন তার সপক্ষেও যুক্তি দেন বিজয়ন । তিনি বলেন, ''এটা একটা ঐতিহাসিক জয়। রাজ্যবাসীর জন্যই এই জয় সফল হয়েছে। তবে কোভিড পরিস্থিতির জন্য এখন বিজয় উৎসব সম্ভব নয়। আমি জানি ২০১৬ সালে ওই একই স্টেডিয়ামে জয়ের উৎসব পালন করা হয়েছিল। সেই সময় সারা স্টেডিয়ামে ৪০,০০০ আমন্ত্রিত উপস্থিত ছিলেন। দলের কর্মীদের ভাবাবেগ আমি বুঝতে পারছি। তবে বুঝতে হবে পরিস্থিতি এখন এক নয়।''