তিরুবনন্তপুরম: তবে কি মাঙ্কিপক্সের (monkey pox) সংক্রমণে দেশের (india) মধ্যে প্রথম (first) মৃত্যু (death) কেরলেই (kerala)? সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জের কথায় তুঙ্গে জল্পনা। গত শনিবার কেরলের ত্রিশূরে যে তরুণের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁর নমুনায় মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন বীণা। তার পর থেকে তীব্র আলোড়ন বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারণ মানুষ সকলের মধ্যেই। মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণেই কি প্রাণ হারিয়েছেন তরুণ নাকি মৃত্যুর অন্য কোনও কারণ ছিল? আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে সর্বত্র।
কী বলছে কেরল প্রশাসন?
এমনিতে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণে মৃত্যুহার খুব কম। কিন্তু ওই তরুণের মৃত্যু নিয়ে সরকারের তরফে উচ্চপর্যায়ের এনকোয়ারি হবে, জানিয়েছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। গত ২২ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ফিরেছিলেন ত্রিশূর জেলার পায়নুর এলাকার ওই বাসিন্দা। তার দিনচারেক পর, গত ২৬ জুলাই হঠাতই জ্বর আসে তাঁর। ২৭ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়েছিল তরুণের। ফলে পর দিন অর্থাৎ ২৮ জুলাই তাঁকে ভেন্টিলেটরে দিতে হয়। দুদিন পরেই মারা যান তিনি। বীণার দাবি, সে দিনই তরুণের আত্মীয়রা প্রশাসনকে জানান সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সে সংক্রান্ত রিপোর্ট-ও তুলে দেওয়া হয়। যদিও কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রথমে জানিয়েছিলেন, ওই তরুণের এনসেফ্যালাইটিস-র উপসর্গ রয়েছে। তবে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি-র রিপোর্ট বলছে, মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে। আপাতত জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ চলছে, আজ জানান বীণা।
ভারতের পরিস্থিতি:
এখনও পর্যন্ত এ দেশে সরকারি ভাবে চার জন মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের হদিস মিলেছে। এর মধ্যে তিন জনই কেরলের, এক জন দিল্লির। প্রশাসনের দাবি, দিল্লিতে যিনি আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর কোনও বিদেশ সফরের রেকর্ড নেই। সেক্ষেত্রে কী ভাবে তিনি সংক্রমিত হলেন, সেটাও প্রশ্ন। তবে তার মধ্যে এই মৃত্যুর খবর নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে। যদি কেরলের এই তরুণের মৃত্যুর কারণ সত্যিই মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ হয়ে থাকে, তা হলে ভারতে এটিই এমন মৃত্যু হবে।
আরও পড়ুন:'নীলাদ্রি কন্য়ার বক্তব্য ও তথ্য়ে ফারাক', বিস্ফোরক দাবি সিআইডি-র