নয়াদিল্লি: ক্ষমতার দখল নিয়ে সেনা এবং আধা সেনার মধ্যে সংঘর্ষ (Sudan Clashes)। তাতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সুদানে। গোলাগুলিতে প্রায় ৬০ জন নিরীহ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন সেখানে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এক ভারতীয়ও। আদতে কেরলের বাসিন্দা তিনি। কর্মসূত্রে সুদানে ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। তাঁর মৃত্যুর খবর পৌঁছেছে বাড়িতে (Indian Dead in Sudan)।


সুদানে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে বিষয়টির দিকে নজর রাখা হচ্ছে


নিহত ভারতীয়কে ৪৮ বছরের অ্যালবার্ট অগাস্টিন বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। কেরলের কান্নুর জেলার নেল্লিপ্পারা গ্রামে বাড়ি তাঁর। সুদানে একটি সংস্থায় সিকিওরিটি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সুদানে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে বিষয়টির দিকে নজর রাখা হচ্ছে, নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।


অ্যালবার্টের মৃত্যুতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠি লিখেছেন কেরলের কান্নুরের কংগ্রেস সাংসদ কে সুধাকরণ। সুদান থেকে অ্যালবার্টের দেহ ফিরিয়ে আনতে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। সুদানের রাজধানী খারতুমে ভারতীয় দূতাবাসের তরফেও অ্যালবার্টের মৃত্যুর খবর সুনিশ্চিত ভাবে জানানো হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।


আরও পড়ুন: Atiq Ahmed: আতিক-আশরফ খুনের পর প্রয়াগরাজে জারি ১৪৪ ধারা, ১৭ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল যোগী-প্রশাসন


তবে অ্যালবার্টের পরিবার জানিয়েছে, সরকার বা দূতাবাস নয়, এক প্রতিবেশীর থেকে অ্যালবার্টের মৃত্যুর কথা জানা যায়। প্রতিবেশী ওই যুবকও সুদানেই কর্মরত। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনায় কর্মরত ছিলেন অ্যালবার্ট। ছ’ বছর আগে অবসর গ্রহণ করেন। তার পর সুদান যাত্রা। ছেলে ব্রিটেনে বড়াশোনা করেন। ছেলেকে ফোন করতে বাড়ির একটি জানলা খুলেছিলেন তিনি। তখনই এলোপাথাড়ি গুলিতে বিদ্ধ হন।


প্রায় ৬০ জন নিরীহ নাগরিকের মৃত্যু


একটি প্রস্তাবিত নাগরিক শাসন বলবৎ করা নিয়েই তেতে উঠেছে সুদান। সেখানে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে দেশের সেনাবাহিনী এবং কুখ্যাত আধা সামরিক বাহিনী। প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস, রাষ্ট্রায়াত্ত টেলিভিশন, সেনা সদর দফতর এবং খারতুম বিমানবন্দরের দখল ঘিরে মুখোমুখি লড়াই চলছে। এলোপাথাড়ি গোলাগুলিতে প্রায় ৬০ জন নিরীহ নাগরিকের মৃত্যুর খবর মিলেছে সেখান থেকে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।


শনিবার রাতভর সংঘর্ষ চলেছে সুদানে। গোলাগুলির পাশাপাশি কামানও নেমেছে বলে খবর। সাধারণ নাগরিকের পাশাপাশি প্রচুর সৈনিকও মারা গিয়েছেন সেখানে। আহত সৈনিকের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে সুদানের দিকে নজর রেখেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। কারণ শুধু দেশের সাধারণ নাগরিক বা সৈনিকই নন, ওয়র্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের আওতায় সুদানে মানবিক কাজে লিপ্ত ছিলেন এমন অনেকেও প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর।