তিরুঅনন্তপুরম: ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনরোষের আঁচ কেরলেও। মহিলা পশুচিকিত্সককে তেলঙ্গানায় ধর্ষণ করে মেরে পুড়িয়ে দেওয়ায় অভিযুক্তদের গতকাল ভোরে অপরাধস্থলেই এনকাউন্টারে মেরে ফেলায় সেখানকার পুলিশের ওপর পুষ্পবৃষ্টি হয়েছে। তেলঙ্গানা পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ আমজনতা। এবার কেরলের পালাক্কাড়ে ২০১৭-য় দুই নাবালিকা বোনের ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় খালাস হওয়ার পরও চার অভিযুক্তের একজনকে ‘সাজা’ দেওয়ার দায়িত্ব হাতে তুলে নিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, পালাক্কাড়ের কাছে আত্তাপ্পাল্লামে শনিবার কথাকাটাকাটির পর তাঁকে মারধর করেন তাঁরা। সি মধু নামে ওই ব্যক্তিকে পালাক্কাড়ের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁকে প্রতিবেশীরা আগে হুমকি দিয়েছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন মধু। তাঁর মায়ের সন্দেহ, ছেলেকে মারধরের পিছনে তাঁদের ‘রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা’ জড়িত।
গত অক্টোবরে ২০১৭-য় দুই বোনের ধর্ষণ, হত্যায় মধু সহ অভিযুক্ত চারজনকে রেহাই দেয় পালাক্কাড়ের দায়রা আদালত। মেয়েদুটির মৃত্যু হত্যা, এই দাবির সমর্থনে কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে জানায় আদালত।
তবে চার অভিযুক্তের রেহাই পাওয়া নিয়ে কেরলে ব্যাপক অসন্তোষ ছড়ায়। শাসক সিপিএম, কেরল পুলিশের প্রবল সমালোচনা হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে ঢিলেমির অভিযোগ ওঠে। শেষ পর্যন্ত গত নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ঘোষণা করেন, এই মামলার বিশেষ কৌঁসুলিকে সরানো হয়েছে। ওয়ালায়ার ধর্ষণ মামলা ফের চালু করার অনুমতি চেয়ে কেরল হাইকোর্টে পিটিশনও দেয় বিজয়ন সরকার।
মধু নাবালিকা দুটির শ্লীলতাহানি করেছেন, অপরাধে দোষী, তাঁর ভাইও এটা বিশ্বাস করেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় একটি সংবাদ সংস্থা।