আগ্রা: সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যু তদন্তে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে সামনে এসেছে তাঁর বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর নাম। তাঁর বাবা সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ফলে তাঁকে প্রায়ই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বদলি হতে হত। আর বাবার বদলির চাকরির জন্য রিয়াকেও ঘুরতে হয়েছে দেশের নানা জায়গায়। আগ্রার একটি নামী স্কুলে বছর পাঁচেক পড়েছিলেন রিয়া। মেধাবী ও দারুণ বাস্কেটবল খেলোয়াড় হিসেবে শিক্ষকরা আজও মনে রেখেছেন তাঁকে।


কর্মসূত্রে  ২০০২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় ছিলেন রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী। ওই সময় এখানকার নামী স্কুল সেন্ট ক্লেয়ার সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে পড়াশোনা করেন রিয়া। বর্তমানে ওই স্কুলের প্রিন্সিপাল ভাস্কর জেসুরাজ স্কুলের নথিপত্র দেখে জানিয়েছেন, ২০০২-এ পঞ্চম শ্রেণিতে এখানে ভর্তি হন। ২০০৭-এ নবম শ্রেণির পরীক্ষা পাশ করে বাবার সঙ্গে আগ্রা ছেড়ে চলে যান তিনি। ওই স্কুলে তাঁর সহপাঠীরা তাঁকে মনে রেখেছেন এক প্রাণচঞ্চল সতীর্থ হিসেবে। প্রতিবার পরীক্ষায় ফার্স্ট হতেন রিয়া। গেম টিচার অজিত সিংহ জানিয়েছেন, পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলোয় দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। অসাধারণ বাস্কেটবল খেলতেন, যখন নবম শ্রেণির ছাত্রী, তখন দ্বাদশের মেয়েদের বাস্কেটবলে হারিয়ে দিতেন। উওম্যান অফ দ্য ম্যাচ হতেন। তাঁর সহপাঠী যাঁরা ছিলেন, তাঁদের বেশিরভাগই এখন সেনায় যোগ দিয়েছেন। ওই স্কুলে তাঁর সমসাময়িক এক প্রাক্তন ছাত্র জানিয়েছেন, ক্লাস প্রতিনিধি হিসেবে রিয়া এক বার স্কুল সংসদে অংশ নিয়েছিলেন এবং উঁচু ক্লাসের অনেক পড়ুয়ার সঙ্গেই তাঁর বন্ধুত্ব ছিল।

ওই স্কুলের এক প্রাক্তন শিক্ষক জানিয়েছেন, রিয়া ছোটবেলা থেকেই খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। ওই শিক্ষকের কথায়, "এখনও মনে আছে, একবার ক্লাসে রিয়া এত নাটকীয়তা ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে নিজের পরিচয় দিয়েছিল, তখনই মনে হয়েছিল, মেয়েটার মধ্যে অভিনেত্রী হওয়ার গুণ রয়েছে।"