কলকাতা: নিউটাউনের এনকাউন্টার নিয়ে কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্তের দাবি তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।  আজ সকালে নিউটাউনে চা চক্রে অংশ নিয়ে দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, বারবার বাংলাতেই কেন জঙ্গি বা গ্যাংস্টাররা ঘাঁটি গাড়ে?  তাঁর অভিযোগ, সিআইডি-কে দিয়ে ঘটনা ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।  কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্তের দাবি তোলেন তিনি। পাল্টা তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, গ্যাংস্টাররা  এসেছে তো বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ থেকে। রাজ্য সরকারকে কৃতিত্ব না দিয়ে উল্টে সমালোচনা করছেন দিলীপ?


দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, বারেবারেই এ রাজ্যকে নিরাপদ ঘাঁটি হিসেবে বেছে নিচ্ছে জঙ্গি বা গ্যাংস্টাররা। কেন  এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, সে ব্যাপারে কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।


নিউটাউনে রুদ্ধশ্বাস গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় পাঞ্জাবের দুই মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টারের। পুলিশ সূত্রে খবর, নিউটাউনে সাপুরজির সুখবৃষ্টি আবাসনের বি ব্লকের ২০১ নম্বর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস উদ্ধার করেছে এসটিএফ। নিহত গ্যাংস্টার জয়পালদের আসবাবের সঙ্গে বেশ কিছু প্লাস্টিকের ব্যাগ পাওয়া গেছে, যাতে পাকিস্তানের করাচির ঠিকানা রয়েছে। এর পাশাপাশি ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬টি মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু সিম কার্ড। সেগুলি কাদের নামে আছে, কোনও অপরাধে তা ব্যবহার করা হয়েছে কি না, সবকিছু খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


ফ্ল্যাট থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।এদিকে পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর,জয়পাল ও তার গ্যাং আন্তর্জাতিক মাদক চোরা চালান চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিল। পাকিস্তান সীমান্তে যে সব গ্যাং মাদক চোরা চালান নিয়ন্ত্রণ করে তাদের মধ্যে অন্যতম জয়পাল-যশপ্রীতের গ্যাং। পাকিস্তান থেকে মাদক এনে চোরাপথে তারা ভারতে ছড়িয়ে দিত। আর গত এক দশকে পাঞ্জাবে ড্রাগ সমস্যা মারাত্মক আকার নিয়েছে। শেষ হয়ে গেছে বহু যুবক। নিঃস্ব হয়ে গেছে অসংখ্য পরিবার।আর পাকিস্তান থেকে ড্রাগ পাচার করে এনে ছড়িয়ে দেওয়ার মামলাতেও জয়পালকে খুঁজছিল পাঞ্জাব পুলিশ।বৃহস্পতিবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুই গ্যাংস্টারের দেহের ময়নাতদন্ত হয়।


গ্যাংস্টারের এই পাক যোগ নিয়ে গতকালই সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ কটাক্ষ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। এদিন নিউটাউন এনকাউকাউন্টার কাণ্ডে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন তিনি।