ময়ুখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: দু’ দফায় মেহেতা বিল্ডিংয়ের ওষুধের দোকান থেকে দেবাঞ্জন ইঞ্জেকশন কিনেছিল। এখনও টাকা বকেয়া রয়েছে বলে দাবি কর্ণধারের। মেহতা বিল্ডিংয়ের একটি ওষুধের দোকান থেকে ভুয়ো ভ্যাকসিন ও ইঞ্জেকশন কিনেছিল প্রতারণাকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেব। অভিযোগ, পুর অফিসার পরিচয়েই মেহতা বিল্ডিং থেকে ইঞ্জেকশন কেনে অভিযুক্ত।  ভুয়ো ভ্যাকসিনের আঁতুড়ঘরে এবিপি আনন্দ। পুলিশ সূত্রে খবর, দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে কবে ওই দোকানে গিয়েছিল দেবাঞ্জন, সে সব জানার চেষ্টা চলছে।


ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের পর্দাফাঁসের পর প্যান্ডোরার বাক্স খুলে বেরিয়ে আসছে দেবাঞ্জনের একের পর এক কীর্তি।  জানা গিয়েছে, পুরসভার জয়েন্ট কমিশনার পরিচয় দিয়ে মেহেতা বিল্ডিংয়ের ওই দোকান থেকে ইঞ্জেকশন কিনেছিল দেবাঞ্জন। ভুয়ো কাগজপত্র বানিয়ে ওই ইঞ্জেকশন কেনে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কর্ণধার জানিয়েছেন, দু’দফায় দেবাঞ্জন ইঞ্জেকশন কিনেছিল। প্রথম দফায় ২২ হাজার টাকা দিলও এখনও টাকা বকেয়া রয়েছে বলে দাবি কর্ণধারের। ওই ওষুধর দোকানের কর্ণধার সঞ্জয় কুমার মুকিম জানান, "দুবার ইঞ্জেকশন কিনেছিল। ২২ হাজার টাকা দিয়েছিল। এখনও ৫৫ হাজার টাকা পাই।"


এদিকে ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবকে জেরায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের দাবি, ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ১ বছর ধরে প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিল ভ্যাকসিনকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেব। করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরই ছক সাজিয়ে ফেলে সে। শুরুতে পিপিই, মাস্কের ব্যবসা করবে বলে ঠিক করলেও ধীরে ধীরে রাজনৈতিক যোগাযোগ বাড়িয়ে একের পর এক ভ্যাকসিন ক্যাম্পের আয়োজন করতে থাকে।  স্পুটনিকের ভায়ালের লেবেলের ফটোকপি লাগিয়ে প্রতারণা করা হয়। কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে নিজেই কম্পিউটারে তৈরি করে জাল লেবেল। 


সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ২ হাজার জনকে ভুয়ো ভ্যাকসিন দিয়েছে দেবাঞ্জন। সমস্ত ভুয়ো ক্যাম্পের নেপথ্যেই ছিল রাজনৈতিক নেতা বা তাদের ঘনিষ্ঠরা। দেবাঞ্জনের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে পুরসভার জাল স্ট্যাম্প, লেটারহেড। ইতিমধ্যে নিউ মার্কেট থানায় দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে।