কলকাতা: তৃণমূলে ফেরার জল্পনার মধ্যেই এবার ফেসবুক প্রোফাইলে বন্ধু শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জুড়ে নিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর নতুন ফেসবুক প্রোফাইলে লেখা হল, বৈশাখী শোভন বন্দ্যোপাধ্যায়।
পোশাকের রং মিলান্তি থেকে শুরু করে সর্বত্র একসঙ্গে যাওয়া-আসা। বঙ্গ রাজনীতিতে হাই প্রোফাইল জুটির বন্ধুত্ব এবার সোশাল মিডিয়ায় অন্য মাত্রা পেল।
তৃণমূলে ফিরতে পারেন শোভন-বৈশাখী। এমন একটা জল্পনা রয়েছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে। আর ফেরার পথেই, নারদকাণ্ডে গ্রেফতারির পর মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানো নিয়ে ভূয়সী প্রশংসায় দু’জনেই।
প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা যখন নিজাম প্যালেসে বসেছিলাম, তখন অফিসিয়াল বললেন সিএম ম্যাডাম ডাকছেন। আমি যাই। এটা স্নেহ, ভালবাসা, কর্তব্য। এটা অবশ্যই একটা বড় পাওনা।
পাল্টা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় শোভন-বৈশাখী এখন এতটাই আপ্লুত হলে, এসএসকেএমে ভর্তি থাকার সময় কেন চক্রান্ত করে হাসপাতালে আটকে রাখার অভিযোগ করেছিলেন শোভন?
প্রসঙ্গত, এসএসকেএমে ভর্তি থাকাকালীন শোভন বলেছিলেন, এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে অনুরোধ করব প্রপারলি ডিসচার্জ করা হচ্ছে না, আমাকে চক্রান্ত করে আটকানো যাবে না।
মুখ খুলেছিলেন প্রাক্তন বিজেপি নেতার বান্ধবীও। বৈশাখী বলেছিলেন, এসএসকেএমে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে শোভনকে, কেউ এসে দরজায় ধাক্কা দিচ্ছেন, ঘরের মধ্যে হাতাহাতি করছেন।
এসএসকেএম-বিতর্কে পাল্টা ব্যাখ্যা দিয়েছেন শোভন-বৈশাখী। প্রাক্তন বিজেপি নেতা বলেন, এসএসকেএমে-র পরিষেবা নিয়ে বিতর্ক ছিল না। পিজিতে একটা চিঠি দেওয়া হয় কাস্টডি বলে। তারপর আমার ঘরের বাইরে লোকজন এসে হট্টগোল করছিল। যে ম্যাডাম এটা ইনস্টিগেট করেছিলেন, এখানে টিএমসি বা রাজ্য সরকারের প্রসঙ্গ ছিল না।
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বেহালা পূর্বের বিধায়ক কি নিজেকে সরকার ভাবেন? রত্না ইজ টিএমসি, টিএমসি ইজ রত্না, আমি ম্যাডামের ইন্টারফেয়ারেন্সের বিরোধিতা করেছিলাম, ওনার মধ্যযুগীয় বর্বরতার জন্য কনডেম করেছিলাম।
শোভন-বৈশাখীর তৃণমূলে ফেরার জল্পনার মধ্যেই, তাঁদের পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। বলেন, ওদের কোনও কাজ নেই, একজনের কলেজ গেছে, একজনের বিধায়ক পদ-সহ সব গেছে।
সবমিলিয়ে শোভন-বৈশাখী-রত্নাকে নিয়ে রাজনীতিতে বিতর্কের ঝড় অব্যাহত।