কলকাতা: কলকাতার গণপরিবহণে রোপওয়ে ও মনোরেল তৈরির ভাবনা রাজ্য সরকারের।
পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, পরিবহণকে কিভাবে ঢেলে সাজানো যায়, সেটা দেখা হচ্ছে। যেখানে মেট্রো পৌঁছবে না, সেখানে লাইট ট্রান্সপোর্ট-- রোপওয়ে, মনোরেলের কথা ভাবা হচ্ছে।
২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর গঙ্গাপাড়ের সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হয়। কলকাতার গণপরিবহণের উপর চাপ কমাতে জলপথে যাতাযাতের উপর জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এ’বিষয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, নদী পরিবহণকে ঢেলে সাজানো হবে। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। রেলকে বলেছি, গঙ্গার ধারে চক্ররেলকে উপরে তুলতে, না হয় মাটির নীচ দিয়ে করতে বলেছি। এর ফলে গঙ্গার ধারের কাজে সমস্যা হচ্ছে। যেভাবে তেলের দাম বাড়ছে, অনেক সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছি ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য। এতে দূষণ কমবে।
নির্মীয়মাণ মেট্রোপ্রকল্পগুলির শেষ হওয়ার উপরই নির্ভর করছে কলকাতার গণপরিবহণের নতুন রূপরেখা তৈরির ভবিষ্যৎ। আর এই প্রেক্ষিতে, কলকাতায় মেট্রো প্রকল্পগুলির কাজে গতি আনতে উদ্যোগ নিল রাজ্য।
সোমবার, মেট্রো প্রকল্পগুলির অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে নির্মাণকারী সংস্থা আরভিএনএল ও কেএমআরসিএল-এর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবহণমন্ত্রী, পরিবহণ সচিব ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার। বৈঠকের পর পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, মেট্রোর সঙ্গে বৈঠক করেছি। ওরা কি কি করতে চাইছে, কবে কাজ শেষ হবে, তা জানতে চেয়েছি।
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, মেট্রোর নির্মাণকারী সংস্থাগুলির কাছে রাজ্যের তরফে জানতে চাওয়া হয়, কোন প্রকল্প কবে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে? প্রকল্পগুলি রূপায়ণে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে?
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, মেট্রোর দুই নির্মাণকারী সংস্থা বৈঠকে জানিয়েছে, নোয়াপাড়া-এয়ারপোর্ট রুটের কাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ২০২২-এর ডিসেম্বর। পরের বছর মার্চের মধ্যে জোকা থেকে তারতলার মধ্যে মেট্রোর কাজ শেষ হওয়ার কথা। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হতে পারে সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান রুটের।
বৈঠকে রাজ্য সরকারের তরফে সমস্ত রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। পরিবহণ সচিব রাজেশ সিন্হা বলেন, আমরা বলেছি সবকরমভাবে সাহায্য করবে। কাজ তার লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে শেষ চেষ্টা হোক।
কত তাড়াতাড়ির মেট্রো প্রকল্পগুলি শেষ হয়, সেদিকেই তাকিয়ে কলকাতা ও শহরতলিবাসী।