কলকাতা: কলুটোলা স্ট্রিটে একটি গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ঘটনাস্থলে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। এলাকায় প্রবল আতঙ্ক। আজ সকালে ওই গুদামে আগুন লাগে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। ঘিঞ্জি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের কারণে আতঙ্কে আশপাশের বাড়ির বাসিন্দারা বেরিয়ে আসেন।
কখনও গার্ডেনরিচ, কখনও লেকটাউন জয়া সিনেমা, কখনও আবার নিমতলা ঘাট স্ট্রিট। একের পর এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হয়েছেন শহর। একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের জেরে নড়েচড়ে বসে দমকল দফতর। বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে ফায়ার অডিট করানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। গার্ডেনরিচের
শহরে পরপর দু’দিন, ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর নিমতলা ঘাট স্ট্রিট ও গার্ডেনরিচে, বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসল দমকল দফতর। বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে ফায়ার অডিট করানোর সিদ্ধান্ত নিল তারা। দমকল সূত্রে দবি, দুটি জায়গাতেই পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। ফায়ার লাইসেন্স বা অন্যান্য কাগজপত্র কোথাও মেলেনি।
এই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি দমকল দফতরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, গোটা রাজ্যে ফায়ার অডিট করাতে সাহায্য নেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থার। কেন এই সিদ্ধান্ত? দমকল সূত্রে খবর, গোটা রাজ্যে দোকান, বাজার, শপিং মল, আবাসন, সহ বিভিন্ন জায়গায় ফায়ার অডিট করানোর ক্ষেত্রে কর্মীসংখ্যা সীমিত। তাই এজন্য বেসরকারি সংস্থার সাহায্য নেওয়া হবে।
এ নিয়ে ইতিমধ্যেই মন্ত্রী সহ দমকলের আধিকারিকরা একাধিক বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে ফায়ার অডিট করানোর শর্ত বা খুঁটিনাটি নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে দমকলের বৈঠকও হবে ওই দিনই।
গত ২০ মে সকালে পার্কস্ট্রিট, রাতে বিবাদী বাগ। রাতের শহরে ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাতে টেলিফোন ভবনের কাছে যুব কল্যাণ দফতরের বিল্ডিং-এক একটি বহুতলে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে প্রথমে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন পৌঁছয়, দফায় দফায় আরও দমকলের ইঞ্জিন আসে। আগুনের মূল উৎসে পৌঁছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে আগুন নেভানোর কাজ। ভিতরে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। তবে অতিরিক্ত হাওয়ার কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়তে থাকে। পাশাপাশি এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ার কারণেও আশঙ্কা ছিল।