পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: ৩ দিন পার, বেহালার জোড়া খুনে এখনও রহস্য। মা ও ছেলের খুনের ঘটনায় এবার তদন্ত শুরু করল লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। গতকাল পর্ণশ্রী থানার হাত থেকে তদন্তভার বুঝে নেওয়ার পর রাতেই গোপাল মিশ্র রোডের ওই ফ্ল্যাটে যান তদন্তকারীরা। ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহিলার স্বামী তপন মণ্ডলকে লালবাজারে নিয়ে যান তাঁরা। গত সোমবার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় সুস্মিতা মণ্ডল তাঁর ছেলে ১৩ বছরের তমোজিতের গলাকাটা দেহ।


বেহালার পর্ণশ্রীতে মা-ছেলের নৃশংস হত্যার পিছনে কি পরিচিতরই হাত রয়েছে? তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই জোরাল হচ্ছে এই সম্ভাবনা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, সোমবার দুপুর ৩টে থেকে বিকেল চারটের মধ্যে খুন করা হয় সুস্মিতা মণ্ডল ও তাঁর ছেলে তমোজিৎকে। দুপুরে খাওয়াদাওয়ার ২ ঘণ্টা পর মৃত্যু হয় তাঁদের।


আরও পড়ুন: West Burdwan: কাঁকসায় বন্ধ হয়ে গেল পানীয় জল প্রকল্পের কাজ, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা


স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, সকাল ১০ টার পর থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত আবাসনের নীচের গেট বন্ধ থাকে। তাহলে ভর দুপুরে সুস্মিতাদের ঘরে আততায়ী ঢুকল কীভাবে? এখানেই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর একটি বিষয়।নিহত ছাত্রের গৃহশিক্ষক স্বপন মণ্ডল জানান, আমি ৫.১০ গেছিলাম, নীচের গেট খোলা ছিল, উপরে গেলাম, দরজায় বেল দিলাম, ধাক্কা মারলাম খুলল না। ফোন করলাম, নট রিচেবল। লক ঘোরাইনি। সাড়ে চার বছর ধরে পড়াই। ভাল পড়াশোনায় ছিল তমোজিৎ।


যদিও পুলিশ সূত্রে আগেই দাবি করা হচ্ছে, গৃহকর্তা তপন মণ্ডল আগেই জানিয়েছেন, সোমবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ যখন তিনি আবাসনে ফেরেন, তখন নীচের কলাপসিবল গেট তালাবন্ধ ছিল। একজন প্রতিবেশী সেটি খুলে দেন। এরপর উপরে গিয়ে তিনি দেখেন, ফ্ল্যাটের দরজা ভেজানো। ধাক্কা দিতেই সেটি খুলে যায়।পুলিশ সূত্রে দাবি, অনেক অসঙ্গতি রয়েছে গৃহকর্তার বয়ানে। নিহতের স্বামী এবং পরিচিত কয়েকজনকে এদিনও লালবাজারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদিকে মৃতার বাবা রূপম চট্টরাজ বলেন,আমি বিশ্বাস করি, জামাই একাজ করতে পারে না। তবে যারাই করুক শাস্তি পাক।


আরও পড়ুন: Hooghly: রাতের অন্ধকারে পুকুর ভরাট, বৈদ্যবাটি পুরসভা উদ্যোগে বন্ধ হল কাজ