আশাবুল হোসেন, কলকাতা : বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে আজ বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের ( Bengal Global Business Summit ) উদ্বোধন হল। সকাল সোয়া ১১টা নাগাদ পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। একুশে ক্ষমতা দখলের পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ' এবার তাঁর মূল লক্ষ্য হবে শিল্প ও কর্মসংস্থান।' ফলে বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যেই এবারের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান শুরুতে বক্তব্য রাখেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar )। বাংলার শিল্প-সম্ভাবনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলা যা আজ ভাবে, কাল তা গোটা দেশ ভাবে’ । 


 বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলার দুর্গাপুজো


এবছর বাঙালির গর্বের মুকুটে যুক্ত হয়েছে আরও একটি পালক! বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলার দুর্গাপুজো। ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেয়েছে বাঙালির দুর্গোত্সব! গত কয়েক বছরে কলকাতার দুর্গাপুজোর অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে রেড রোডে ‘দুর্গাপুজো কার্নিভাল’। এবার, কলকাতার সেই দুর্গাপুজোকেই Intangible Cultural Heritage স্বীকৃতি দিয়েছে The United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization বা UNESCO। রাজ্যপালের বক্তব্যেও উঠে এল দুর্গাপুজোর প্রসঙ্গ। তিনি বললেন, ‘গতবছর কলকাতার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেয়েছে । বাংলা যা আজ ভাবে, কাল তা গোটা দেশ ভাবে’


'বাংলা যা আজ ভাবে, কাল তা গোটা দেশ ভাবে’


ভাষণের শুরুতে ধনকড় বলেন, ‘সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে সকলকে স্বাগত জানাই’। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে গোপাল কৃষ্ণ গোখলে থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘গোপাল কৃষ্ণ গোখলে যা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদিও তাই বলেছেন ... বাংলা যা আজ ভাবে, কাল তা গোটা দেশ ভাবে’ । রাজ্যপাল বলেন, তিনি আশা রাখছেন, এই শিল্প সম্মেলন আগামীদিনে রাজ্যের উন্নয়নে পথ দেখাবে । নরেন্দ্র মোদির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালে লুক ইস্ট, অ্যাক্ট ইস্ট নীতি নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি চান, সকলের সুরক্ষা, সকলের উন্নতি।'' ধনকড় বলেন, ‘ সেই পথেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নতির দিকে এগিয়ে চলেছে’। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক চিত্র বদলে দেওয়ার ক্ষমতা আছে পশ্চিমবঙ্গের’

কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য নিয়ে, হাত মিলিয়েই উন্নয়নের পথে এগোচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সবার মতই মেলে চলা উচিত’। তিনি আশা রাখেন,  এই সম্মেলন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পারস্পরিক বিনিময়ের সুযোগ করে দেবে। 


 বেলা ১২টায় বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। সম্মেলনে ১৯টি দেশের আড়াইশো জন প্রতিনিধি যোগ দেন। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন গৌতম আদানি। এই গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে তাজপুর বন্দরে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখানো হয়েছে। এসে পৌঁছেছেন সজ্জন জিন্দল আর  নিরঞ্জন হীরা নান্দানি। ফলে বাণিজ্য সম্মেলনে এই শিল্পপতিরা কী ঘোষণা করেন, তার অপেক্ষায় শিল্পমহল।