কলকাতা: কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী  অভিজিত্‍ সরকারের মৃত্যু-তদন্তে পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। নারকেলডাঙা থানার সাব ইন্সপেক্টর রত্না সরকারকে দেড় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হল।  কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মীর মৃত্যু তদন্তে এই  জিজ্ঞাসাবাদ বলে জানা গেছে। রেকর্ড করা হয়েছে বয়ান। নারকেলডাঙা থানার তদন্তকারী দলের সদস্য ছিলেন এসআই রত্না সরকার। 


পুলিশের প্রাথমিক এফআইআরে গরমিল ছিল। তাই গ্রেফতার করতে হবে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে সিবিআইয়ের কাছে কয়েকদিন আগে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন কাঁকুড়গাছির মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের পরিবারের। নারকেলডাঙা থানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে এবার সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মৃত বিজেপি কর্মীর দাদা।তাঁর অভিযোগ ছিল, জোর করে, চাপ দিয়ে সাদা কাগজে সই করানো হয়েছিল।


এই অভিযোগ তুলে নারকেলডাঙা থানার অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীদের গ্রেফতারির দাবি তুলেছিল কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার।সিবিআইয়ের ডাকে এসেছিলেন মৃতের দাদা। হাতে ছিল এফআইআর-এর কপি। মৃতের দাদা বিশ্বজিত্‍ সরকার বলেছিলেন, এসআই রত্না সরকারকে অবিলম্বে গ্রেফতার  করতে হবে। 


ভোটের ফল ঘোষণার দিন, মৃত্যু হয় কাঁকুড়গাছির বাসিন্দা, বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সক্রিয় সদস্য অভিজিৎ সরকারের। পরিবারের অভিযোগ, শ্বাসরোধ করে, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় তাঁকে।


দুদিন আগেই কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি কর্মীর শেষযাত্রাতেও তুলকালাম বেঁধে গিয়েছিল। আলিপুর রোডে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতা-কর্মীদের বচসা বাঁধে। পুলিশ অফিসারকে চড় মারার হুমকি দিলেন এক বিজেপি কর্মী। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর।


 এর আগে কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই সঙ্গে শিয়ালদা আদালত জানায়, নিহত বিজেপি কর্মীর সঙ্গে তাঁর দাদার ডিএনএ রিপোর্ট ম্যাচ করেছে। পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ডিএনএ ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট।


আরও পড়ুন: WB Corona Cases: রাজ্যে ১ দিনে নতুন করে করোনা সংক্রমিত ৭৫২, মৃত্যু ১৪ জনের