কলকাতা: রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় থাকলে বাঁচবে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি। না হলে বাংলা ভাষাই থাকবে না। হাসপাতালে বসে মন্তব্য কবীর সুমনের। তাঁর কথায়, এই রাজ্যের মতো রাস্তাঘাট ও স্বাস্থ্য পরিষেবা কোথাও নেই। শ্বাসকষ্ট ও গলা ব্যথার কারণে হাসপাতালে ভর্তি তিনি। এদিন হাসপাতাল থেকেই ফেসবুক পোস্টে এই দাবি করেন কবীর সুমন। পাশাপাশি চিকিৎসদের মন ভরা প্রশংসা করেছেন কবীর সুমন। জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতাও।


আগের থেকে বেশ খানিকটা সুস্থ কবীর সুমন। এদিন এসএসকেএম থেকেই ফেসবুকে লাইভ করে নিজের সুস্থতার কথা জানিয়েছেন তিনি। আর প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবাকে। ১ জুলাই অর্থাৎ ডক্টরস ডে, এদিনই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং মুখ্যমন্ত্রীর দরাজ প্রশংসা শোনা গেল শিল্পীর মুখে। বললেন, বিদেশের চেয়েও সেরা পরিষেবা রাজ্যের হাসপাতালে পাচ্ছেন তিনি।


কী বললেন তিনি? শুনুন



গত ২৮ জুন শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয় কবীর সুমনকে। সেদিন ভোর রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন তিনি। অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে।


৭২ বছরের এই প্রবীণ সংগীত শিল্পীর গলায় প্রবল ব্যাথা রয়েছে, কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাঁর  র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে। সেই টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও তাঁর আরটি পিসিআর টেস্ট করা হয়। এরপর রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু হয়।


সোমবার বিকেলেই অসুস্থ কবীর সুমনকে দেখতে এসএসকেএমে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বামফ্রন্টের আমলে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন কবীর সুমন। জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে যাদবপুর লোকসভা আসন থেকে জিতেছিলেন তিনি। তাঁকে দলের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে নিয়মিত দেখা যেত। 


কিন্তু কিছুদিন পর তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তাঁর। যদিও পরে সেই দূরত্বের অবসান ঘটে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখর হয়ে উঠেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, গত ২৩ জানুয়ারী  ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে  নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের বিরোধিতা করে কলকাতার  গড়িয়াহাটে ধরনায় বসেছিলেন কবীর সুমন।