সন্দীপ সরকার ও ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: ভবানীপুরের ২ ওয়ার্ডে জল দূষিত হয়েছে মানলেন কলকাতার পুর প্রশাসক। তবে দূষণের কারণেই মৃত্যুর কথা মানতে নারাজ পুরসভা। ইতিমধ্যেই দূষিত জল খেয়ে এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ৭৩ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ জন। আলিপুর মহিলা জেলেও ১২ জন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।
পুরসভার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম অবশ্য জানান, ‘‘জল দূষিত হয়েছে অল্পমাত্রায়। নমুনা টেস্ট করে মারাত্মক সংক্রমণ মেলেনি। একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুরসভা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছে।’’
ভবানীপুরের শশী শেখর বসু রোড এলাকায় পানীয় জলে যে দূষণ হয়েছে সে কথা মানল কলকাতা পুরসভা। তবে সেই দূষণের কারণেই যে মৃত্যু হয়েছে তা মানতে নারাজ পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম ৷ তিনি জানান, ‘‘একজনের মৃত্যুর কারণ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, রেনাল ফেলিওর। ইতিমধ্যেই ভবানীপুরের ২টি ওয়ার্ড ও আলিপুর মহিলা জেলে দূষিত পানীয় জল খেয়ে ৩ জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ৭৩ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন ডায়েরিয়ায়। পাশাপাশি, আলিপুর মহিলা জেল সূত্রে খবর, সেখানে ১২ জন ডায়েরিয়া আক্রান্ত। কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘দূষিত জল খেয়ে শিশু অসুস্থ। বাড়িতেই চিকিত্সা চলছে। আতঙ্কে আছি ৷’’
এখনও পুরসভার জলে দুর্গন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দদের। আপাতত পুরসভার জলের গাড়ি এবং কেনা জলই ভরসা তাঁদের। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের আরেক বাসিন্দার কথায়, ‘‘দুর্গন্ধের জন্য জল ব্যবহার করছি না। জল আতঙ্ক রয়েছে। জল কিনে খেতে হচ্ছে।’’
ডায়েরিয়ার প্রকোপ বাড়তেই বিক্ষোভ দেখাতে নেমে পড়েছে বিজেপি। বিদায়ী বরো চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বুধবার কলকাতা পুরসভার ৯ নম্বর বরো অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। তাদের মতে, শিশুমৃত্যু হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত বরো চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করছি।
পুরসভা সূত্রের খবর, শশী শেখর বসু রোডের জায়গায় জায়গায় রাস্তা খুঁড়ে পানীয় জলের পাইপলাইনে লিক খোঁজার কাজ চালানো হচ্ছে।