কলকাতা : ভবানীপুর উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সুর চড়ালোন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ভবানীপুরের ফল সেদিনই লেখা হয়ে গিয়েছিল, যেদিন নির্বাচন কমিশন লাজলজ্জার মাথা খেয়ে প্রেস নোট দিয়েছিল। কার্যত সার্টিফিকেটটা দেওয়া বাকি রেখেছিল তারা। মুখ্যসচিব হাইকোর্টে ভর্ৎসিত হয়েছিলেন। তিনি ঘোষণাই করে দিয়েছিলেন, সাংবিধানিক সংকট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হবেন।
তাহলে বিজেপি ভোটে প্রচার করল কেন ? এই প্রশ্ন তুলে নিজেই তার উত্তর দিলেন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বললেন, ভারতীয় জনতা পার্টি গণতন্ত্রে, সংসদীয় রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। আমরা প্রার্থী না দিলে বা প্রচার না করলে এটা প্রমাণ হত না যে, মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে আমার কাছে ১৯৫৬ ভোটে হেরেছেন। সেই মুখ্যমন্ত্রীকে ১৫ দিন ধরে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতে হত না। ১০ দিন সভা করতে হত না। সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নতজানু হয়ে ভোট প্রচার করতে হত না। প্রশান্ত কিশোরের নাম বিহার থেকে কাটিয়ে ভবানীপুরে তুলতে হত না। বাঁশদ্রোণী থেকে ভুয়ো ভোটার এনে খালসা স্কুলে ভোট দিতে হত না। এগুলি তো ভবানীপুরের ভোটে হয়েছে। নতুন করে পর্যালোচনার কিছু নেই।
আরও পড়ুন ; ভবানীপুরে ৫৮,৮৩৫ ভোটে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রসঙ্গত, ভবানীপুরে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫৮ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছেন তৃণমূলনেত্রী। ৫৮,৮৩৫ ভোটে জিতেছেন। ভবানীপুরে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে দ্বিতীয় হয়েছেন বিজেপির প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। তৃতীয় সিপিএমের শ্রীজীব বিশ্বাস।
আরও পড়ুন ; "কোনও ওয়ার্ডে এবার হারিনি", ভবানীপুরের মানুষকে ধন্যবাদ মমতার
এককথায় ভবানীপুরে জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিগুণ ব্যবধানে জয় এসেছে। ২০১১-র উপনির্বাচনের জয়ের ব্যবধানকেও ছাপিয়ে গেছেন মমতা। ২০১১-র উপনির্বাচনে তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল ৫৪ হাজার ২১৩। এবারের জয়ের পর তাই উচ্ছ্বাসে মাতেন দলীয় কর্মীরা।