ভবানীপুর : চেতলার আম্বেদকর কলোনিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চান প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। যদিও তৃণমূলের পতাকা দেখিয়ে তাঁকে ফেরান স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারিকে সঙ্গে নিয়ে চেতলায় প্রচার করেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী। 


অন্যদিকে আজই সকালে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের সমর্থনে ভবানীপুরের নর্দার্ন পার্কে প্রচারে নামেন সুভাষ সরকার। এক তৃণমূল কর্মীর কাছে তাঁকে ভোট চাইতে দেখা যায়। যদিও তৃণমূলকেই ভোট দেব বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সাফ জানিয়ে দেন ওই কর্মী। এদিন বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেমে জনসংযোগের পাশাপাশি, ভোটারদের কাছে সকাল সকাল ভোট দেওয়ার আবেদন জানান সুভাষ সরকার। যদি ভোট লুঠ না হয়, তাহলে মাননীয়া হারবেন বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।


এদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে আজ শেষ রবিবাসরীয় প্রচার। সকাল থেকে জোরদার প্রচারের ময়দানে দেখা যায় তৃণমূল ও বামেদের। আজ সকালে  চেতলার কলাবাগান এলাকা থেকে প্রচার শুরু করেন ফিরহাদ হাকিম। বাড়ি বাড়ি ঘুরে চলে জনসংযোগ। 


আরও পড়ুন ; ৩০ সেপ্টেম্বর যেন আপনাদের আশীর্বাদ পাই, ভবানীপুরের ভোটারদের কাছে আবেদন মমতার


কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় প্রচারে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বাম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। এদিন সুজন চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় প্রচারে যান তিনি। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢোকার মুখে তাঁদের আটকায় পুলিশ। বাম নেতা, কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়ায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। শেষপর্যন্ত পাঁচজনকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় প্রচার করার অনুমতি দেয় পুলিশ।


এদিকে শেষলগ্নে ভবানীপুরের ভোটারদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবেদনপত্রে তিনি লিখেছেন, ভবানীপুর থেকে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু। আমি আপনাদের ঘরের মেয়ে। কোভিডের জন্য কমিশনের নিয়ম মেনে সবার কাছে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমার লিখিত আবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর যেন আপনাদের আশীর্বাদ পাই।