ভবানীপুর : প্রচারের শেষ ধাপে ভবানীপুরের ভোটারদের কাছে আবেদন জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবেদনপত্রে তিনি লিখেছেন, ভবানীপুর থেকে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু। আমি আপনাদের ঘরের মেয়ে। কোভিডের জন্য কমিশনের নিয়ম মেনে সবার কাছে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমার লিখিত আবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর যেন আপনাদের আশীর্বাদ পাই।


বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই আসন থেকে জিতেছিলেন। পরে তিনি এই আসনের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। ফলে, এই আসনটির উপনির্বাচনের প্রয়োজন হয়। এই আসন থেকে আগে দুবার জিতেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


২০১১-তে তৃণমূল বামফ্রন্টকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলের পর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। এরপর ভবানীপুর থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচন থেকে এই আসনে জয়ী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


এবার ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। এছাড়াও, ওই দিন ভোট হবে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে। ভোট গণনা ৩রা অক্টোবর। রাজ্যে গোসাবা, খড়দা, শান্তিপুর, দিনহাটা-সহ ৫ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও, শুধুমাত্র ভবানীপুরেই উপনির্বাচন হচ্ছে ৩০ সেপ্টেম্বর। প্রসঙ্গত, এর আগে নন্দীগ্রামে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা। কিন্তু, অল্প ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু আধিকারীর কাছে পরাস্ত হন তিনি।


নামে উপনির্বাচন। কিন্তু, উত্তাপ বিধানসভা নির্বাচনের থেকে এটুকু কম নয়। কারণ কেন্দ্রের নাম - ভবানীপুর। আর তৃণমূল প্রার্থীর নাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানাতে বিজেপি ময়দানে নামিয়েছে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে। আর সিপিএমের বাজি, তরুণ আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস। দলীয় প্রার্থীর জয়ের দাবি করতে গিয়ে, বিজেপি টানছে, বিধানসভা ভোটের ওয়ার্ডভিত্তিক পরিসংখ্যানকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের জয়ের মার্জিন ছিল ২৮ হাজার ৭১৯। কিন্তু, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২টিতে লিড পেয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে, এই আটটা ওয়ার্ডের মধ্যে ছ’টাতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি।