ভবানীপুর : প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের সমর্থনে ভবানীপুরের নর্দার্ন পার্কে প্রচারে নেমে তৃণমূল কর্মীর কাছে ভোট চাইলেন সুভাষ সরকার। তৃণমূলকেই ভোট দেব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সাফ জানিয়ে দেন ওই কর্মী। এদিন বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেমে জনসংযোগের পাশাপাশি ভোটারদের কাছে সকাল সকাল ভোট দেওয়ার আবেদন জানান সুভাষ সরকার। যদি ভোট লুঠ না হয়, তাহলে মাননীয়া হারবেন বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।


এদিকে ভবানীপুরে ভোটের আগে আজই শেষ রবিবাসরীয় প্রচার। চেতলার কলাবাগান এলাকা থেকে প্রচার শুরু করেন ফিরহাদ হাকিম। বাড়ি বাড়ি ঘুরে চলে জনসংযোগ বাড়ান তিনি।


৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে ভোট। তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE) । তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানাতে বিজেপি ময়দানে নামিয়েছে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে ( PRIYANKA TIBREWAL)। আর সিপিএমের বাজি, তরুণ আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস (SHRIJEEB BISWAS)। এঁরা ছাড়াও নির্বাচনী লড়াইতে আছেন আরও ৯ জন।


প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই ভবানীপুর উপ নির্বাচনে BJP প্রার্থীর হয়ে প্রচারে এসেছিলেন বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী (Hardeep Singh Puri)। তিনি মমতাকে আক্রমণ করে বলেছেন , "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটু ভয় পেয়েছেন। উনি বলেছেন যে মানুষ যদি তাঁকে ভোট না দেন তাহলে উনি মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এখানে উপনির্বাচন কেন হচ্ছে ? কারণ, উনি নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গেছেন।"


আরও পড়ুন ; ভবানীপুরের ভোটার হলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর


এদিকে বিজেপির আইনজীবী প্রার্থী প্রচারে নেমে ঘুরে বেরিয়েছেন দুয়ারে দুয়ারে। কিন্তু কিন্তু কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন ভোটারদের থেকে ? এর জবাবে প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছিলেন, ' সে তো ভটবাক্সেই বোঝা যাবে। তবে, ৭০ শতাংশ ভোট ঠিকঠাক পড়লে আমিই জিতব। ' অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর যে অত্যাচার হয়েছে, তার উত্তর দেওয়ার দিন ৩০ সেপ্টেম্বর।