কলকাতা : উপনির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। আজ এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ''যিনি মুখ্য প্রচারক, তিনি বলেছিলেন খিদিরপুর নাকি মিনি পাকিস্তান। তবে আমি বলব, ওটা পাকিস্তান আমরা বানাতে দেব না। কলকাতাই রাখব। বাংলাকে রাখব। পাকিস্তান বা বাংলাদেশ এখানে হবে না। যাঁরা ভাবছেন এইভাবে জিতে যাবেন, সেটা হবে না।''
এই বিষয় পাল্টা জবাব দেন সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন, ''গণতন্ত্র বাঁচাতে গেলে ধুনুচি নাচ নাচতে হবে এবং কোভিড বিধি ভাঙতে হবে। আমরা ভবানীপুরকে গোরক্ষপুরও বানাতে দেব না। ধর্মের ও জাতের নামে এসে এখানে ভাগাভাগি করবে, সেটাও আমরা করতে দেব না। ভবানীপুরের মানুষ এসব মন্তব্যের যোগ্য জবাব দেবে। এখনও পর্যন্ত ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহর দলকে ভোট দেয়নি। সুতরাং অধিকাংশ মানুষই এদের বিরুদ্ধে রয়েছে।"
এদিকে নন্দীগ্রামের মতো একই জবাব মিলবে ভবানীপুরেও, দলীয় প্রার্থীর প্রচারে অংশ নিয়ে আজ এই দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। নন্দীগ্রামে রিগিং-সন্ত্রাস হয়েছিল, ভবানীপুরে হবে না। পাল্টা জবাব দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমও। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'মাননীয়া বলছেন জমানত বাজেয়াপ্ত হবে। এসব ডায়ালগ তো নন্দীগ্রামেও শুনেছিলাম। তারপর কী হল? নন্দীগ্রামের ফল ভবানীপুরেও হবে।'
অন্যদিকে এর উত্তরে তৃণমূল বিধায়ক ও পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'নন্দীগ্রাম-ভবানীপুর-চেতলা এক নয়, ওখানে যেভাবে এক তরফা ভোট হয়েছে, এখানে সেটা করতে গেলে ভবানীপুরের মানুষ তাঁর পা ভেঙে দেবে।'
এদিকে আজই মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল (Priyanka Tibrewal)। পরে তিনি আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, 'যে কোনও লড়াই কঠিন হয়। কিন্তু লড়তে হয়। মনপ্রাণ দিয়ে আমরা লড়ব। আর এখানে আমার পাশে ব্রহ্মা বিষ্ণু, মহেশ্বর, সবাই আছেন। এই লড়াইটা লড়ার জন্য। নন্দীগ্রামে মানুষ যা করেছে, এবার সেই সুযোগ পেয়েছে ভবানীপুরের মানুষ। আর ভবানীপুরের মানুষ ইতিহাস গড়বে, এটা আপনারা দেখে নেবেন।'