আবীর দত্ত, কলকাতা: ভবানীপুরের ভোটার হলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। ভবানীপুর কেন্দ্রের সেন্ট হেলেন স্কুলের পার্ট নম্বর ২২২-এর ভোটার হলেন প্রশান্ত কিশোর। সেন্ট হেলেন স্কুলের ভোটকেন্দ্রে রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের নাম। জানুয়ারি-মে মাসের মধ্যে ভোটার তালিকায় নাম ওঠে পিকে-র, এমনটাই জানা গিয়েছে। খবর, পিকের নাম নবনিযুক্ত হয়েছে। এই উপনির্বাচনে প্রশান্ত কিশোর সেন্ট হেলেন স্কুলে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলেই জানা গেছে। পিকের ভোটার সিরিয়াল নম্বর রয়েছে ৯০৫। ভোটার তালিকায় দেখা গিয়েছে প্রধান্ত কিশোরের বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ৪৪ বছর এবং তাঁর বাবার নাম শ্রীকান্ত পাণ্ডের নামও উল্লেখ করা হয়েছে ওই তালিকায়।
এই বিষয়টি নিয়ে বিজেপির তরফেও টুইট করা হয়েছে। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের নির্বাচনী এজেন্টও টুইটে একথা জানিয়েছেন সজল ঘোষ এবং সোশাল মিডিয়ার দেখভালের দায়িত্বে থাকা সপ্তর্ষি চৌধুরিও টুইট করেছেন।
কিন্তু ভবানীপুরে কেন ভোটার হলেন পিকে? নেপথ্যে কী সিদ্ধান্ত রয়েছে? রাজনৈতিক মহলের মত, লোকসভা নির্বাচন থেকেই তৃণমূলের রণনীতিগত গুরুদায়িত্ব সামলেছেন ভোটকুশলী এবং তাঁর টিম আই-প্যাক। ভারতীয় সংবিধানের নিয়ম অনুসারে কোনও একটি জায়গায় কেউ দীর্ঘদিন থাকলে সেখানে ভোটার হওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে আগের এলাকা থেকে নাম তুলে নিতে হয়। এরপর নতুন জায়গায় নাম নথিভুক্ত করা যায়।
আরও পড়ুন, 'আমি যেখানেই যাব সেখানেই বাধা, নিজেরা এদিক-ওদিক ঘুরবে', রোম যাত্রা বাতিলে মোদিকে তোপ মমতার
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, "এই জিনিষ আমি প্রথম দেখলাম। কেউ চাকরি করতে এসে সেখানকার বসতি হয়ে যান। কন্ট্রাকচুয়াল কর্মী এমন পাকাপাকিভাবে বসতি গড়বেন তা শুনিনি, দেখিওনি। সেই জন্য আমরা প্রথমেই নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি জানাব। কমিশনের উচিত ওঁর নাম ওঁর আদি জায়গা অর্থাৎ বিহারে এখনও আছে কি না তা দেখার। সেখানে নাম না তুলে যদি এখানে নাম তুলে থাকে তবে তা গর্হিত অপরাধ। নির্বাচন কমিশনের তা দেখা উচিত। রাজনীতি করতেই পারেন এখন। তবে একবার জিতেছেন বলেই বারবার জিতবেন এমন ভাবার কোনও কারণ নেই।"
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে এখনও কিছু প্রতিক্রিয়া মেলেনি।