দীপক ঘোষ, সত্যজিত্‍ বৈদ্য ও সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: পুলিশের (Bidhannagar Police) হাতে মহিলার শ্লীলতাহানির (Molestation) অভিযোগ। প্রতিবাদে সরব বিরোধীরা। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। খুচরো ঘটনা বলে অভিযোগ ওড়ালেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy)। পুলিশের কাছে ঘটনার রিপোর্ট তলব করবে রাজ্য মহিলা কমিশন, জানালেন কমিশনের চেয়ারপার্সন।


রাতের শহরে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে পড়ল। এক ASI ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Volunteer) বিরুদ্ধে উঠল শ্লীলতাহানির অভিযোগ। 


গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকেই। তবে এই ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আক্রমণ বিরোধীদের। যদিও ‘খুচরো ঘটনা’ বলে ওড়ালেন সৌগত রায়। 


রাজ্য মহিলা কমিশন পুলিশের কাছে ঘটনার রিপোর্ট তলব করবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন। ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তারাও।  বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে ইতিমধ্যেই  এই ঘটনায় শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। 


রাতের শহরে বাইকে তুলে মহিলার শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ। বিধাননগর কমিশনারেটের এক ASI ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার গ্রেফতার। দু’জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি।


রক্ষকই ভক্ষক। উর্দিধারীকে বিশ্বাস করে মোটরবাইকে উঠে গুনতে হল মাসুল! শুক্রবার রাতে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে রাতের কলকাতায়। বাইকে তুলে মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে।  গ্রেফতার এক ASI ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার।  


যে ঘটনাকে ঘিরে আলোড়ন পড়ে গেছে পুলিশ প্রশাসনে। পুলিশ সূত্রে খবর, আসানসোলের বাসিন্দা, ২৫ বছরের ওই মহিলা সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরির পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। মহিলার দাবি, বাস লেট করায় তিনি শুক্রবার রাত ১টা নাগাদ করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডের কাছে নামেন। 


মহিলার অভিযোগ, কোনও গাড়ি না পেয়ে যখন তিনি রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন, সেই সময় পুলিশের স্টিকার লাগানো ২টি বাইক দেখতে পেয়ে হাত দেখান। একটি বাইকে ছিলেন একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। অন্য বাইকে একজন ASI ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার। মহিলা উল্টোডাঙা যাওয়ার জন্য তাঁদের কাছে লিফট চান। তখন যে বাইকে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন, সেই বাইকে উঠতে বলা হয়। 


মহিলার অভিযোগ, বাইকে তোলার পর তাঁকে ঘোরানো হয় বিভিন্ন রাস্তায়।  একসময় তাঁকে বলা হয়, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার কাজে যাবেন। তাঁকে ASI ও আর এক সিভিক ভলান্টিয়ার যে বাইকে ছিলেন, তাতে উঠতে বলা হয়। মহিলার দাবি, তিনি সেই বাইকে ওঠেন। কাজে যাওয়ার কথা বলে একা বাইকে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ার চলে যান। 


 মহিলার অভিযোগ, এরপর চলন্ত বাইকে তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়। মানি স্কোয়ারের কাছে চেঁচামেচি করে বাইক থেকে নেমে যান মহিলা ।  ফোন করে তাঁর গড়ফার বাসিন্দা এক বন্ধুকে ডাকেন। এরপর বন্ধুকে নিয়ে মহিলা যান কসবা থানায়।  পুলিশ সূত্রে খবর, কসবা থানার পুলিশ অভিযোগ শুনে তাদের গাড়িতেই মহিলাকে নিয়ে যায় বিধাননগর উত্তর থানায়।  সেখানে দায়ের হয় অভিযোগ। 


পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার দুপুর ২টোর পর কেস রুজু করে ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ASI সন্দীপকুমার পাল ও সিভিক ভলান্টিয়ার অভিষেক মালাকারকে। তাঁরা দুজনেই বিধাননগর কমিশনারেটের ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত। তবে ঘটনার সময় তাঁরা ডিউটিতে ছিলেন না বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জনের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত।