নয়াদিল্লি: বিহারে BJP-JDU জোটের সামনে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল RJD-কংগ্রেস-বামেদের মহাগঠনবন্ধন। সব থেকে শোচনীয় অবস্থা কংগ্রেসের। বিহারে সিঙ্গল ডিজিটে নেমে গেল শতাব্দী প্রাচীন দল। আর তারপরেই বিজেপি-সহ তার সহযোগী দলগুলোর তীব্র আক্রমণ ও ব্যাঙ্গ বিদ্রুপের মুখে পড়তে হল রাহুল গান্ধীকে। যদিও এত কিছুর পরেও বিহারের ফলপ্রকাশ নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি পোস্টে লিখেছেন, আমি বিহারের লক্ষ লক্ষ ভোটারের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা মহাগাঠবন্ধনের উপর আস্থা রেখেছেন। বিহারের এই ফল সত্য়িই এক বিস্ময় ! আমরা একটি নির্বাচনে জয় আনতে পারিনি, যা কিনা শুরু থেকেই নিরপেক্ষ ছিল না। এই লড়াই সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য। কংগ্রেস ও INDIA জোট এই ফলাফল নিয়ে গভীর পর্যালোচনায় যাবে। গণতন্ত্র রক্ষার্থে সক্রিয় চেষ্টা করবে।'

Continues below advertisement

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, RJD-র হেভিওয়েটকে হারিয়ে আলিগড় জয়, বিহারের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হতে চলেছেন বছর ২৫-র জনপ্রিয় মৈথিলী !

এ যেন জুটিতে লুটি!নীতীশ-মোদি জুটির কাছে ম্লান হয়ে গেল তেজস্বী যাদব-রাহুল গান্ধীর মহাজোট। নিভে গেল তেজস্বী যাদবের লণ্ঠন..বিহারের বুকে ধ্বসংবাশেষে পরিণত হল শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস! প্রচারে নেমে রাহুল গান্ধী-তেজস্বী যাদব মোটরবাইক চালিয়েছিলেন!ভোটের ময়দানে তাঁদের দুই দলের ওপর বুলডোজার চালালেন নীতীশ কুমার-নরেন্দ্র মোদি। কাজে এল না বিহারে রাহুল গান্ধীর 'ভোটার অধিকার যাত্রা'। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করে ভোট চুরির অভিযোগ তোলাই সার হল! বিহারে আগে থেকেই অস্তিত্বের সঙ্কটে ভোগা কংগ্রেস আরও তলানিতে চলে গেল! রাহুলকে ব্য়াঙ্গ বিদ্রুপে ভরিয়ে দিল বিজেপি!সংবাদ সংস্থা ANI সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী  প্রহ্লাদ যোশী বলেন, রাহুল গান্ধী সবসময়ই পরমাণু বোমা, হাইড্রোজেন বোমার কথা বলেন। আমার মনে হয়, এই সব বোমা তিনি তাঁর নিজের দল ও শরিক দলগুলোর ওপর ফাটাচ্ছেন। কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র  পবন খেরা বলেন, এটা সরাসরি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিহারের মানুষের লড়াই ছিল, আমি এটা সরাসরি বলছি। ছোট বেলায় আমরা সবাই একটা বই পড়েছি 'To Sir, with Love', এই বইটা জ্ঞানেশ কুমার লিখেছেন নরেন্দ্র মোদির জন্য। 

ভোট চুরি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করা!তারপর হঠাৎই উধাও!সবাই যখন প্রচারে ব্য়স্ত, তখন বিহার থেকে বহু দূরে রাহুল গান্ধী। খোঁজ খোঁজ। বিজেপির কটাক্ষ। তারপর হঠাৎ উদয় হলেন। প্রচারে নামলেন। কিন্তু ভোটের ফলাফলে বোঝা গেল, না কংগ্রেসের সংগঠন আছে, না রাহুলের ক্য়ারিশ্মা! ফের একবার পার্ট টাইম পলিটিশিয়ানের কটাক্ষ ধেয়ে এল তাঁর দিকে! সোশাল মিডিয়ায় তাঁকে কটাক্ষ করে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য লিখেছেন, রাহুল গান্ধী!আরেকটি নির্বাচন, আরেকটি পরাজয়!যদি নির্বাচনী ধারাবাহিকতার জন্য পুরস্কার থাকত, তাহলে তিনি সবগুলো পেয়ে যেতেন। এই হারে, এমনকী বিপর্যয়গুলিও ভাবছে যে তিনি (রাহুল গান্ধী) কীভাবে এগুলিকে নির্ভরযোগ্যভাবে খুঁজে পেলেন। নাম না করে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে পোস্ট করেছে অসম বিজেপি। লেখা হয়েছে, শিশু দিবসে 'জাতীয় শিশু'কে বিরক্ত করার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।