কলকাতা:


ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির পুরসভা অভিযান ঘিরে উত্তেজনা। শেষ মুহূর্তে পূর্বঘোষিত রুট বদল করা হলেও পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে আটকে গেল বিজেপির পুরসভা অভিযান। গ্রেফতার একাধিক নেতা-কর্মী।


পুলিশের অনুমতি না মিললেও ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের প্রতিবাদে পুরসভা অভিযানে অনড় ছিল বিজেপি। দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসু, সৌমিত্র খাঁ, অগ্নিমিত্রা পাল-সহ দলের নেতা-নেত্রীদের উপস্থিত ছিলেন ওই প্রতিবাদ মিছিলে। 


দলের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, প্রথমে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে জমায়েত করার কথা বিজেপির নেতা কর্মীদের। সেখান থেকে নির্মলচন্দ্র দে স্ট্রিট, ওয়েলিংটন স্কোয়ার, রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড হয়ে এনএস ব্যানার্জি রোড ধরে মিছিল করে যাওয়ার কথা ছিল কলকাতা পুরসভার দিকে। 


এদিন হিন্দ সিনেমার সামনে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল। মাঝে রুট বদলে চমক দেওয়ার চেষ্টা করে বিজেপি।  ওয়েলিংটন স্কোয়ারের দিকে যাওয়ার কথা থাকলেও মিছিল আচমকা পথ বদলে গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ দিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে ওঠে বিজপির মিছিল। 


সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অগ্নিমিত্রা পল, সায়ন্তন বসু সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মীকে। তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। 


বিজেপি কর্মীরা পুলিশকে বাধা দিলে ধস্তাধস্তি হয়। মহিলা কর্মীদের অনেকেই মাটিতে শুয়ে পড়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তিতে বিজেপির এক মহিলা কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। 


করোনাকালে পুরসভা অভিযানের অনুমতি গতকালই খারিজ করে দেয় পুলিশ। জমায়েত করলে মহামারী আইনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আগেই জানানো হয়েছিল পুলিশের তরফে। 


বিজেপির মিছিল আটকাতে এদিন পুরোদমে প্রস্তুত ছিল পুলিশ।  অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। ওয়াই চ্যানেলও ছিল পুলিশ ও জল কামান। পুলিশ সূত্রে খবর, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ছিলেন ৩ জন যুগ্ম-কমিশনার, ২ জন অতিরিক্ত কমিশনার ও ১০ জন ডেপুটি কমিশনার।


পুলিশের হস্তক্ষেপে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় বিজেপির মিছিল। যে নেতারা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান, তাঁদের সেখান থেকে বের করে নিয়ে যান নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানরা। জানা যায়, মিছিল ছত্রভঙ্গ হওয়ার পর দিলীপ ঘোষ সহ শীর্ষ নেতারা ফিরে যান মুরলীধর স্ট্রিটে। 


এদিকে, বিজেপির অভিযান ঘিরে কলকাতা পুরসভায় রয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। পরিচয়পত্র ছাড়া পুরসভায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ দর্শালে ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।