কলকাতা: সল্টলেকের বাড়িতে প্রায় ৩ ঘণ্টা পুলিশি ঘেরাটোপে থাকার পর রাজভবনে গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধি দল। প্রায় একঘণ্টা রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁদের।


‘বাংলায় ন্যূনতম গণতন্ত্র নেই। উত্তর কোরিয়ার মতো শাসন চলছে। ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে।’ রাজভবন থেকে বেরিয়ে আক্রমণ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।


কলকাতা পুরসভা নির্বাচন বাতিলের দাবিও জানায় বিজেপি।


এরপরেই রাজভবন থেকে সরাসরি রাজ্য নির্বাচন কমিশনে যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় তাঁদের। এরপর নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে ভিতরে যান শুভেন্দু, জয়প্রকাশ মজুমদাররা। 


নির্বাচন কমিশনের দফতর থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘দলদাস পুলিশকে ব্যবহার করে ভোট লুঠ। প্রহসনের নির্বাচন। বিধায়করা বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য এসেছিলেন। তাঁদের বেলা ১২টা থেকে বিকেল পাঁচটা পাঁচ-দশ পর্যন্ত তালা-চাবি দিয়ে আটকে রাখা হয়। উত্তর কোরিয়ার কিমের আরেকটা প্রতিরূপ কলকাতার মানুষ এবং ভারতের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ দেখল। তার নাম হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কীভাবে দলদাস কলকাতা পুলিশকে ব্যবহার করে ভোট লুঠ করতে হয়, কীভাবে গণতন্ত্র ধ্বংস করতে হয়, সেটা কম্পার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার দেখিয়ে দিলেন। আমার কাছে উনি নন্দীগ্রামে হেরেছেন। আমি একবার লড়েছি, বিরোধী দলনেতা হয়েছি। আর ওঁকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য দু’বার লড়তে হয়েছে। সেজন্য আমি আগে ওঁকে নন-এমএলএ বলতাম, এখন বলি কম্পার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার। এই মুখ্য়মন্ত্রীর নেতৃত্বে লুঠ হয়েছে। সেই কারণে বিকেল চারটের সময় উনি মিত্র ইনস্টিটিউশন, যেখানে ৯০ শতাংশ ভোট লুঠ করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, সেখানে তিনি কলকাতার জনগণকে অভিনন্দন না জানিয়ে পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’


বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে আরও বলেন, ‘আমরা নাকি বহিরাগত! এর আগে বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও উনি প্রধানমন্ত্রীকে বহিরাগত বলেছেন। আর আজ যাঁরা কলকাতার বাইরের, তাঁদের উনি বহিরাগত বলেছেন।’