কলকাতা: তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান ও নিখিল জৈনের বিয়ে নিয়ে চলতি বিতর্কে মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, বিয়ে হল না অথচ সেই বিয়েতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, এ তো প্রতারণা। বিয়ে হল। একজন সাংসদ। তিনি বলছেন আমার বিয়েই হয়নি। সিঁদুরের ফোঁটা লাগিয়ে, রথ টেনে ভোটে জিতে গেলেন!কত নিচে নামবে বাংলার রাজনীতি!যাঁর বিয়ে হল না তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে গেলেন!
উল্লেখ্য, সাংসদ পদে শপথগ্রহণের সময়েও নিজের নাম বলেছেন, নুসরত জাহান রুহি জৈন। সংসদের দেওয়া নথি অনুযায়ী, লোকসভার ওয়েবসাইটের তথ্যও বলছে তিনি বিবাহিত। স্বামীর নাম নিখিল জৈন।বিয়ের তারিখ ২০১৯-এর ১৯ জুন। কিন্তু আচমকা একটা বিবৃতিতেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক।  সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন এবং বিবাহ বিতর্কের মধ্যে, বুধবার এক বিবৃতিতে অভিনেত্রী-সাংসদ দাবি করেন, অনেক আগেই আমরা আলাদা হয়ে গেছি। ব্যক্তিগত জীবনকে আড়ালে রাখতে চাই বলে আমি এনিয়ে কিছু বলিনি। যাকে বিয়ে বলে দাবি করা হচ্ছে, তা আইনি এবং বৈধ নয়। আইনের চোখে এটা বিয়েই নয়।
গত বছরের শেষ থেকেই আলাদা থাকছিলেন নিখিল জৈন এবং নুসরত জাহান। এরই মধ্যে অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে নুসরতের সম্পর্কের জল্পনা শুরু হয়। কয়েকদিন আগে সামনে আসে নুসরতের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর। এই প্রেক্ষিতে বুধবার প্রকাশ্যে আসে তৃণমূল সাংসদের এই বিবৃতি। 
এর পরই বৃহস্পতিবার আসরে নামে বিজেপি। ট্যুইট করে করে খোঁচা দেন অমিত মালব্য। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান লেখেন-তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান রুহি জৈনের ব্যক্তিগত জীবন, তিনি কাকে বিয়ে করেছেন বা কার সঙ্গে থাকছেন, তা নিয়ে কারও মাথা ব্যথা থাকা উচিত নয়। কিন্তু তিনি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সংসদের রেকর্ডে নিখিল জৈনকে তাঁর স্বামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাহলে কি তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে মিথ্যা বলেছিলেন?
দলীয় সাংসদের ব্যক্তিগত জীবনকে রাজনীতির আঙিনায় টেনে আনায় বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। যুক্তি হিসেবে গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রধানমন্ত্রীর হলফনামা প্রসঙ্গ তুলে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তারা। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন,কাচের ঘরে বসে বিজেপি যেন ঢিল না ছোড়ে...গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দুটো হলফনামা দেখে যেন এসব ট্যুইট করে।
বাংলা দখলের যুদ্ধ শেষ। এই পরিস্থিতিতে অভিনেত্রী-সাংসদের ব্যক্তি জীবনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে নতুন যুদ্ধ শুরু হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এবার দিলীপ ঘোষও এই ইস্যুতে মুখ খুললেন।