ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, পার্থপ্রতিম ঘোষ ও রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: ষষ্ঠীর রাতে সল্টলেকে ক্যাব ছিনতাইয়ের অভিযোগ। বাধা দেওয়ায় ধারাল অস্ত্রের কোপ মেরে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় চালককে। নবমীতে ডানলপ থেকে যুগলকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এখনও উদ্ধার হয়নি খোয়া যাওয়া গাড়ি।


ষষ্ঠীর রাতে যাত্রী সেজে ক্যাব ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে। বাধা দেওয়ায় চালককে ধারাল অস্ত্রের কোপ। নবমীতে অভিযুক্ত যুগলকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর,  ষষ্ঠীর রাতে সল্টলেক যাওয়ার কথা বলে দমদম থেকে ওই যুবক-যুবতী গাড়িতে ওঠেন। 

অভিযোগ, সল্টলেক এডি ব্লকে পৌঁছলে, চালকের কপালে ধারাল অস্ত্রের কোপ মারে যুগল। এর পরই চালককে ঠেলে ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ক্যাব চালক। নবমীতে ডানলপ থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খোয়া যাওয়া গাড়ি এখনও উদ্ধার হয়নি। 


পুজোর আগে গত মাসে যাত্রী সেজে উঠে যুগলের বিরুদ্ধে ক্যাব-সহ তিন তিনজন চালককে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় চালকরা।সেই ঘটনার সঙ্গে এদের যোগ সূত্র আছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে পুজোর মধ্যে ফের আক্রান্ত পুলিশ। এক বাইকচালকের বিরুদ্ধেই ট্রাফিক সার্জেন্টকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল। 


পুলিশ সূত্রে খবর,  বৃহস্পতিবার রাতে হাজরা মোড়ের কাছে বন্ধুকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে মত্ত অবস্থায় বেপরোয়াভাবে বাইক চালাচ্ছিলেন বাগমারীর বাসিন্দা সুব্রত দাস।বাধা দেওয়ায় কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্টকে তিনি নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ভবানীপুর থানার পুলিশ। 


উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর নবমীর রাত। একদিকে যখন মানুষরা উৎসবের আনন্দে মেতে রয়েছেন, অন্যদিকে তখন ডিউটি চালাকালীন এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে (Civic Volunteer) বেধড়ক মারধর করে তার বাইক ও মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে পালালো দুষ্কৃতীরা। 


ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুজোর মহানবমীর রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদার কাঁথি বাইপাস সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেদলার বাইপাস সংলগ্ন এলাকাতেই ডিউটি করছিলেন এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। ডিউটি করার সময় হঠাৎই তিনি মাথায় চোট পান। বুঝতে পারেন, পিছন থেকে কেউ তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত করেছে। এরপরই ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারে কাছ থেকে মোবাইল ফোন এবং বাইক ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। 


মাথার পিছনে গুরুতর চোট লাগে তাঁর। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে প্রথমে বেলদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হয়। ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।