কলকাতা:  করোনার চোখ রাঙানি রয়েছে। এরই মধ্যে উৎসব আবহ বছরে একবারই। সারা বছর প্রতীক্ষা থাকে এই চারদিনের। সদ্যবিবাহিতদের জন্য এই বিজয়া দশমী আরও বেশি আকর্ষণীয়। এর কারণ সিঁদুর খেলা। মাকে বিদায় দেওয়ার দিনে দেবীর কপালে সিঁদুর ছুঁইয়ে সকলের সঙ্গে সিঁদুরখেলায় মাতে বঙ্গবাসী। যদিও করোনাকালে সেই নিয়মেও কড়াকড়ি এসেছে। এবার সেই আবহে দেখা গেল পিপিই কিট পরেই চলেছে দেদার সিঁদুরখেলা। 


কোভিডকালে বদল এসেছে সব নিয়মেই। ব্যতিক্রম হয়নি দুর্গাপুজোয়।  এবছর ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নিলে তবেই মণ্ডপে ঢুকে অঞ্জলি, সিঁদুরখেলা। বড় প্যান্ডেলে সর্বাধিক ৪৫, ছোট মণ্ডপে সর্বোচ্চ ১০ জন থাকতে পারবেন, নতুন নির্দেশিকা দিয়ে ছিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়ম মানা না হলে পুজোর অনুমতি বাতিল করতে পারবে পুলিশ, এমন সতর্কতাও দেওয়া হয়েছিল। 


সেই নিয়ম মেনেই এবার লালপাড় শাড়ির চিরাচরিত প্রথা ভেঙে পিপিই কিট পরে সিঁদুর খেললেন মহিলারা। ঢাকের তালে পা ও মেলালেন।                                                                                  



বাগবাজার সর্বজনীনের সিঁদুরখেলা অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রতিবছর বাগবাজারের সিঁদুরখেলা দেখতে অনেক দূর থেকে আসেন অনেকে। এবার করোনা-কালে সেই সিঁদুরখেলাতেও পড়েছে কোপ। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন--এবছর সিঁদুরখেলা হবে না। কেউ বরণ করতে চাইলে, তা করেই চলে যাবেন। পুজো প্রাঙ্গনে কেউ আড্ডা দিতে পারবেন না।


মুদিয়ালি ক্লাবে শুরু হয় দশমী পুজো। এরপর সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন মহিলারা। এবার ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেখিয়ে মিলছে সিঁদুর খেলায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কাল্পনিক মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার মুদিয়ালি ক্লাবের মণ্ডপ। রাজস্থানি শিল্পকলা মণ্ডপজুড়ে, প্রতিমায় সাবেকি সাজ। ৮৭ তম বর্ষে মুদিয়ালি ক্লাবের থিম ছিল, পুজোর জন্য পুজো। অন্যদিকে, কোভিড বিধি মেনেই কুমোরটুলিতে মাকে বরণ করেন মহিলারা। যদিও সিঁদুর খেলা এবার হয়নি।