কলকাতা : কলকাতায় এই মুহূর্তে (Kolkata) ২৯টি কনটেনমেন্ট জোন (Containment zone) রয়েছে। সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে আবাসনগুলির লিফট থেকে। তবে, দুই সপ্তাহের মধ্যেই পুরসভার (KMC) পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
মহানগরে এখনও রয়েছে করোনা (Coronavirus) দাপট। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতাতেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৬৫ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এর মধ্যেই গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela) করা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। তবে করোনা টেস্ট, কনটেনমেন্ট জোন, টিকাকরণের মাধ্যমে করোনা রোখার কাজ চালাচ্ছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation), এমনই জানান ফিরহাদ (Firhad Hakim)। যদিও অনেক জায়গায় করোনা পরীক্ষা নিয়ে সমস্যার অভিযোগ উঠেছে। অনেকের অভিযোগ কেএমসি-র অনেক পরীক্ষা কেন্দ্রে করোনা পরীক্ষা করতে পারছেন না। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়েছেন মেয়র।
এদিকে, কলকাতা পুরসভার প্রায় ১ হাজার কর্মী করোনা আক্রান্ত। করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্য বিভাগের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ প্রায় ২৫০ জন কর্মী। অবস্থা খারাপ জঞ্জাল সাফাই বিভাগেরও। কমিশনার ও সচিব বিভাগের ১৮ জন কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পুরসভার জন্ম-মৃত্যু সংশাপত্র বিভাগের ২২ জন কর্মীর মধ্যে, ১৪ জন সংক্রমিত। এই অবস্থায়, আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে বার্থ ও ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া। তবে, এই সংক্রান্ত নথি জমা নেওয়ার জন্য মঙ্গলবার রক্সি সিনেমা হলের দিকে, একটি কাউন্টার খোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন ; রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ফের ২১ হাজার পার, কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত ৬ হাজারের বেশি
এদিকে, কলকাতা পুরসভার ৩ নম্বর বরোয় আরটিপিসিআর টেস্টে বিপত্তি। ১৫ জনের বেশি আরটিপিসিআর পরীক্ষা হবে না, নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছে পুরসভার তরফে। ফিরতে হচ্ছে অনেককেই। এই পরিস্থিতির শীঘ্রই উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মেয়রের মতে, দুই সপ্তাহের মধ্যেই স্বাভাবিক হবে মহানগর।