কলকাতা : গঙ্গাসাগরের (Gangasagar) ভিড় উপচে পড়ছে কলকাতাতেও (Kolkata)। বিভিন্ন রাজ্য থেকে যেসব মানুষ গঙ্গাসাগরে যাওয়ার জন্য আসছেন, তাঁরা এসে জড়ো হচ্ছেন বাবুঘাটে (Babughat)। এরপর ছড়িয়ে পড়ছেন শহরের বিভিন্ন জায়গায়। বাজে কদমতলা ঘাটের ভিড়ের দৃশ্য দেখলে আঁতকে উঠতে পারেন যে কেউ ! অনেকের মুখেই নেই মাস্ক, শিকেয় দূরত্ববিধি। এমনকী পুলিশের নজরদারিও চোখে পড়ছে না। 


মাস্ক না পরা এক অতি উৎসাহী পুণ্যর্থী বললেন, "সব ঠিক আছে, সব ভাল আছে। গঙ্গা মায়ের থেকে করোনা বড় নয়। গঙ্গা মা সবার পাপ ধুয়ে দেয়, করোনা কোন জিনিস!" কেউ আবার বললেন, "দিল্লি (Delhi) থেকে করোনাকে শেষ করতে এসেছি। ভগবানের থেকে করোনা বড় নয়।"


'সব তীর্থ বার বার গঙ্গা সাগর একবার', লোকমুখে এই কথার প্রচলন । করোনা আবহে এই গঙ্গাসাগরে লোক সমাগম আদৌ করা উচিত কি না, এই নিয়ে তর্ক চলছেই। মামলাও চলছে হাইকোর্টে। কিন্তু ভক্তকূলের একাংশ মনে করছেন, কুছ পরোয়া নেহি। সব ভয়কে জয় করে অকুতোভয়ের মতো এগিয়ে চলেছেন তাঁরা উৎসব পালন করতে। পুণ্যস্নান সারতে।


আরও পড়ুন ; রিক্সাতেই থাকা-খাওয়া-রাত্রিবাস, স্ত্রীকে নিয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে গঙ্গাসাগরের পথে মহাদেব


এই পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগরের মেলাপ্রাঙ্গন ঘুরে দেখলেন লালবাজারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী, যুগ্ম কমিশনার অখিলেশ ত্রিপাঠী ও ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়া। খতিয়ে দেখেন স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না। আগামী কয়েকদিনও চলবে নজরদারি, খবর লালবাজার সূত্রের।


এদিকে রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়েছে হাইকোর্ট। গঠিত হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলার নতুন নজরদারি কমিটি। কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কমিটিতে থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। কমিটিতে থাকবেন লিগাল সার্ভিস এইড-এর সদস্য সচিব রাজু মুখোপাধ্যায়।


গোটা সাগরদ্বীপই নোটিফায়েড এলাকা বলে চিহ্নিত। ‘দুটি টিকা নেওয়ার সার্টিফিকেট না থাকলে সাগর দ্বীপে প্রবেশ নয়। বাধ্যতামূলক করা হয়েছে আরটিপিসিআর (RTPCR) টেস্ট। আদালতের নির্দেশ না মানলে দায়ী হবেন মুখ্যসচিব।' জানায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।