কলকাতা : ফের নতুন করে চোখ রাঙানি শুরু করেছে করোনা। রাজ্যে বাড়ছে সংক্রমণ। উদ্বেগজনক পরিস্থিতি কলকাতার। বড়সড় সঙ্কটের মুখে কলকাতার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। কারণ, একের পর এক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত একাধিক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন হাসপাতালের কী অবস্থা-
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর,
- NRS হাসপাতাল : আক্রান্ত ৭০ (সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী)।
- ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ : আক্রান্ত ৮০ (জুনিয়র চিকিৎসক ও চিকিৎসক)।
- কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ : ৭ চিকিৎসক আক্রান্ত।
- চিত্তরঞ্জন সেবা সদন : ৩৬ জন চিকিৎসক আক্রান্ত।
- রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজি : ১৫ চিকিৎসক আক্রান্ত (রাজ্যের একমাত্র সরকারি চক্ষু হাসপাতাল)।
- আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ : অধ্যক্ষ-সহ ৩৫-এর বেশি চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত।
সূত্রের খবর,
- ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতাল : ১০ চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মী
- আর এন টেগোর হাসপাতাল : ৫ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী
- সিএমআরআই: ৫ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী।
এতজন চিকিত্সক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী কী করে আক্রান্ত হলেন ? প্রশ্ন উঠছে, চিকিত্সক, স্বাস্থ্যকর্মীরাই যদি আক্রান্ত হন, তাহলে সাধারণ মানুষের চিকিত্সা হবে কী করে ? জুনিয়র চিকিত্সকরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁরা তো প্রধানত হস্টেলে থাকেন। হস্টেলে যদি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে তো মারাত্মক অবস্থা হবে ! এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন ; উদ্বেগ বাড়িয়ে রাজ্যে করোনার দৈনিক পজিটিভিটি রেট ২০ শতাংশ ছুঁইছুঁই, বাড়ল মৃত্যুও
এই পরিস্থিতিতে আজও কলকাতায় (Kolkata) একদিনে ২৮০১ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এদিকে সংক্রমণে লাগাম টানতে কলকাতায় ২৫টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট (Micro Containment) জোন (Zones) করা হয়েছে বলে জানান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
পাশাপাশি তিনি বলেন, কোনও আবাসনে ৪-৫ জন আক্রান্ত হলেই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হবে। কনটেনমেন্ট জোন ছাড়াও বাজার, জনবহুল রাস্তায় হবে স্যানিটাইজেশন। বাজারে মাস্ক ছাড়া বিক্রি নিষিদ্ধ। ১০-১৫ তারিখের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে।