কলকাতা : রাজভবনের সামনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু । প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এক বাইক আরোহী এগিয়ে আসছিলেন। হঠাতই তারা দেখেই তিনি পড়ে যান রাস্তায় জলের মধ্যে। সেখানেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। তারপরই তাঁর দেহ ভাসতে শুরু করে। সেখানেই পড়ে ছিল খোলা একটি তার। সেই তার দেখেই আর এগোতে সাহস পান না পথচারীরা। ওই জায়গাটি গার্ডরেল দিয়ে ঘিরেছে পুলিশ। ওখানে আর কোনও খোলা বৈদ্যুতিন তার পড়ে আছে  কিনা তাই নিয়ে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। আশঙ্কা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট  হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।




পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ঋষভ মণ্ডল। ২৫ বছরের ওই যুবক ফরাক্কার বাসিন্দা। মঙ্গলবার বিকেলের টানা বৃষ্টিতে, রাজভবনের নর্থ গেটের সামনে হাঁটু সমান জল জমে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃষ্টি থামার পর, সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ  জমা জলের মধ্যেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। হঠাৎই একটি লাইটপোস্টের পাশে পড়ে গিয়ে ছটফট করতে থাকেন তিনি। তারপরই সব শেষ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, লাইটপোস্টের খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। 


রাজভবনের নর্থগেট থেকে মেরেকেটে ২০ মিটার! অথচ সেখানেই প্রায় ৪৫ মিনিট এই অবস্থায় পড়ে থাকে যুবকের মৃতদেহ। ৭ টা ১৫তে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে যায় দমকলবাহিনীও। খবর পাওয়া মাত্রই সিইএসসি-র কর্মীরা এসে লাইটপোস্টের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেন।যদিও সেখানে কোনও খোলা তার ছিল না বলে দাবি করেন তাঁরা। 

কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই কলকাতার একাংশ জলমগ্ন  হয়ে যায়। এই বৃষ্টিতে বিভিন্ন জেলা থেকেও মৃত্যুর খবর আসে। মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে বাজ পড়ে ১ জনের মৃত্যু হয়। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে বাজ পড়ে ১ জনের মৃত্যু হয়। হাওড়ায় বাজ পড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়। পুরুলিয়ায় হাসপাতালের সামনে ভেঙে পড়ে গাছ। অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান পথচারীরা। 


 দুপুর হতেই ঘনায় জমাট অন্ধকার। আকাশ কালো করে নামে মুষল ধারে বৃষ্টি। সঙ্গে বাজ। আর তার মাঝেই বাজ পড়ে ও প্রবল বৃষ্টির জেরে দৃশ্যমানতা কম থাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে রাজ্যে প্রাণ হারালেন ৪ জন। মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে একজন আর বর্ধমানের খণ্ডঘোষে বাজ পড়ে আরও একজন মারা যান। অপরদিকে, নানুরে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান আরও দু'জন। এদিকে, পুরুলিয়ায় হাসপাতালের সামনে ভেঙে পড়ে গাছ। দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালের সামনে ঝড়-বৃষ্টির দাপটে ভাঙে গাছ। অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান পথচারীরা।