কলকাতা : বিধি উড়িয়ে শরৎ বোস রোডে চলছিল হুকা বার। খবর পেয়ে অভিযান চালায় লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার পুলিশ । হোটেলের বেসমেন্টে  রমরমিয়ে চলছিল হুকা বার। সামনের দরজা ছিল বন্ধ। খবর পেয়ে তদন্তে নামে  পুলিশ। তারপর গ্রেফতার করা হয়  হুকা বারের ম্যানেজার-সহ ৩ জনকে।



সংক্রমণের মধ্যেও নিয়মকে তোয়াক্কা না করে কীভাবে খোলা ছিল হুকা বার? 

গত ৭ মে, কসবায় হুকা বারের বিধি ভঙ্গের ছবিটা সামনে এসে পড়ে একটি দুর্ঘটনার সূত্র ধরে।  গন্ডগোল নেমে আসে রাস্তায়। অভিযোগ, একের পর এক গাড়িকে পিষে দেয় বেপরোয়া বিএমডব্লু চালক! বেঘোরে মৃত্যু হয়  এক পথচারীর।  চার অভিযুক্ত ও হুকা বারের মালিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেখানেও রাজ্য সরকারের করোনা বিধি নিষেধ তোয়াক্কা না করেই খোলা ছিল বার। 

শুক্রবার তখন ভোর ৫টা ১০ । ঠিক তখনই এই মর্মান্তিক ঘটনা। গাড়ির ধাক্কায় রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাতে কাতরাতে ঘটনাস্থলে মারা যান তপন দে নামের এক ফুটপাথবাসী। হাত ভাঙে কসবা থানার কনস্টেবল উদয় দাসের। 


শুক্রবার সকাল পর্যন্ত খোলা ছিল কসবা মেন রোড লাগোয়া এই হুকাবার! অভিযোগ, বারে আসা কয়েকজনের মধ্যে গন্ডগোল বাধে। <<অ্যানিমশেন ইন>>
অশান্তির আঁচ পৌঁছয় রাস্তায়। অভিযোগ, চার যুবক মত্ত অবস্থায় নিজেদের মধ্যে বচসায় জড়ায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কসবা থানার এক কনস্টেবল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এরপর গাড়ি নিয়ে চলে যায় বিএমডব্লুর মালিক। আচমকাই সে গাড়ি নিয়ে ফিরে এসে প্রচন্ড গতিতে পরপর ধাক্কা মারতে থাকে। ঘটনাস্থল থেকে বিএমডব্লুর মালিক রাজদীপ শর্মা ও তাঁর এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় চান্দের পাল ও সুমিত আগরওয়াল নামে আরও দুই অভিযুক্তকে। 

এরপরই প্রশ্ন ওঠে, কসবা থানার অনতিদূরে কীভাবে রমরমিয়ে চলছিল বার ? যেখানে রাজ্য সরকারের তরফে ৫ মেই জানিয়ে দেওয়া হয়, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যে সমস্ত বার, রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। দোকান-বাজার খোলার সময়েও রাস টানা হয়। রাজ্যে যেখানে করোনা পরিস্থিতি চরমে, দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ২০ হাজার পার করেছে, সেখানে কীভাবে চলছে নিয়ম ভেঙে এই রমরমাটি ব্যবসা ? কারাই বা প্রমোদে মাতছেন এই ভয়ঙ্কর সময়ে ?