কলকাতা: বিধান নগর পুর নিগম এলাকায় অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ জন।যেটা জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ছিল ২৫ জন।শুধু অক্টোবর মাসেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ জন।আর তাতেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিধান নগর পুর নিগম প্রশাসনের কপালে।
ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এভাবে বেড়ে চলায় উদ্বিগ্ন বিধান নগর পুর নিগম।আর সেই কারণে তড়িঘড়ি ডেঙ্গু দমন অভিযানে নামল বিধান নগর পুর নিগমের স্বাস্থ্য দফতর।স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক ও বিধান নগর পুর নিগমের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য, বিধান নগর স্বাস্থ্য দফতর এই অভিযান শুরু করেছে।
করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড, ডিএল ব্লক এই সব জায়গায় পরিদর্শন করা হয়।শুধু তাই নয় ,মশার তেল ছড়ানো হয়।খতিয়ে দেখা হয় কোথায় জল জমে রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে জানা গিয়েছিল, অক্টোবরে মাত্র ২০ দিনে ২৪ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। সল্টলেকের এক ডেঙ্গি আক্রান্ত পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, এলাকায় মশা মারার কাজ হয় না, জঞ্জাল পড়ে আছে, ধোঁয়া দিতে আসে না। ফলে সেইসব কাজ বন্ধ আছে।
বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ প্রণয় রায়ের (স্বাস্থ্য) বলেছিলেন, পুজোর জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় ঢিলেমি হয়েছে। আমাদের খামতি রয়েছে, বৃষ্টিও বেশি হয়েছে, তাই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।
পুজোর ভিড়ের খেসারত! বঙ্গে বাড়ছে করোনা! উদ্বেগের মধ্যেই চিন্তা আরও বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে রাজ্য সরকার যে তথ্য পাঠিয়েছে, তা অনুযায়ী চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২২৪ জন। অন্যদিকে অগাস্ট পর্যন্ত ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১০ হাজার (9,684)। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। কিন্তু, তারপর থেকে যেভাবে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে, তাতে আক্রান্তের সংখ্যাটা আরও বেড়েছে বলেই অনুমান চিকিৎসকদের।
কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের ২০ তারিখ পর্যন্ত শহরে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৪০০-র কাছাকাছি।
ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২ জন। এরই মধ্যে ষষ্ঠীর দিন, ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে দীপালি দত্ত নামে এক মহিলার। এরপর কলাবাগান এলাকার আরেক বাসিন্দা রুমকি দাসের ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর নিউ আলিপুর লাগোয়া ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ওই এলাকায় পরিদর্শনে যায় পুরসভার প্রতিনিধি দল। শুধু কলকাতা নয়।
এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি মোকাবিলায় চিকিত্সকদের পরামর্শ, জ্বর হলেই চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। বাড়িতে যেন রোগীকে ফেলে রাখা না হয়। চিকিৎসকরা বলছেন ডেঙ্গির জ্বর কেটে গেলে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।