রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: উৎসবের নাম করে যোধপুর পার্কের ক্যাফেতে তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা (TMC)। তা নিয়ে শাসকদলকে তীব্র কটাক্ষ রাজ্য বিজেপি-র (BJP) প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh Update)। তাঁর দাবি, আগে মস্তানরা তোলাবাজি করত। এখন শাসকদলের নেতারা করছেন। রাজ্যে দুর্বৃত্তদের হাতে সরকার চলে গিয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। 


শুক্রবার নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরোন দিলীপ। সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে যোধপুর পার্কের ঘটনায় মুখ খোলেন তিনি। সরাসরি কারও নাম না করলেও দিলীপ বলেন, "আগে মস্তানরা তোলাবাজি করত। এখন নেতরা করেন। কাউন্সিলরের নাম করে তোলাবাজি চলছে। এক জন মহিলা দুর্দিনের বাজারে দোকান চালাচ্ছেন। তাঁর উপর জুলুমবাজি চলছে। থানা থেকে ফেরার পথে হেনস্থা করা হচ্ছে। এই সরকার দুর্বৃত্তদের হাতে চলে গিয়েছে।"


যোধপুর পার্কের ঘটনায় তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে যে, আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু দিলীপের কথায়, "দলের তরফে মুখপাত্রকে কিছু একটা বলতে হয়, তাই বলার। এই প্রথম নয়।"


সম্প্রতি পুরসভা নির্বাচনে জোড়াফুলের কাছে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। তার পর থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিক জায়গায় বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। সেই নিয়ে দিলীপ বলেন, "গোড়া থেকেই শুভেন্দুকে নিশানা করা হচ্ছে। আমার সঙ্গে একাধিক বার এমন হয়েছে। সরকার একটাই রাস্তা জানে। বিরোধীদের উপর গুন্ডা লেলিয়ে দাও, কেস দিয়ে দাও, পুলিশ লেলিয়ে দাও। এখানে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। পুলিশ দাঁড়িয়ে মজা দেখে। বিরোধী দলনেতার ন্যূনতম সম্মান নেই। বাংলার মাথা নীচু হয়ে গিয়েছে। এই সংস্কৃতি তৃণমূলের আমদানি।"



আরও পড়ুন: Jodhpur Park News: ক্যাফেতে ‘তোলাবাজি’, বিতর্কে বন্ধ উৎসব, গ্রেফতার মূল অভিযুক্তকও


রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতেও এ দিন মুখ খোলেন দিলীপ। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে রাজভবনে ডেকে পাঠান জগদীপ ধনকড়। সেই চিঠি টুইটারেও তুলে ধরেন। তা নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘাত তুঙ্গে। দিবলীপের বক্তব্য, "মুখ্যমন্ত্রী আগে দেখা করেননি কেন রাজ্যপালের সঙ্গে? এতদিন মুখ লুকোচ্ছিলেন কেন? কেউ ডাকলে যান না উনি। আপনারা আইন থেকে দূরে রয়েছেন। তাই কেউ ডাকলে যেতে ভয় পান।"


চার বকেয়া কেন্দ্রের ন্যায় রাজ্য পুলিশ দিয়েই বাকি পুরসভা নির্ববাচন করানো হবে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের সুবিধার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ করেন দিলীপ। বলেন, "পুলিশ তৃণমূলকে সব ভোটে নিশ্চিন্তে জিতিয়ে দেবে। ভাবতে পারেন? কেউ ৯৫ শতাংশ ভোট পায়! কী অবস্থা! মিডিয়া ভুয়ো ভোটার ধরছে। তাই টিকিট পাওয়ার জন্য মারামারি। টিকিট পাও। তারপর পুলিশ জিতিয়ে দেবে। দেদার ফলস ভোট পড়েছে। লুঠের গণতন্ত্র চলছে।" এসএসসি-তে নিয়োগ নিয়ে হাস্যকর কাণ্ড চলছে বলেও মন্তব্য করেন দিলীপ। তাঁর কথায়, "ফেল করা লোক যদি শিক্ষক হয়, তাহলে ছাত্রদের কী হবে? টাকার খেলা চলছে।''