হিন্দোল দে, কলকাতা: গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে শুরু হয়েছে বিসর্জনের প্রস্তুতি। দূষণ রোধে তত্পর কলকাতা পুরসভা। দইঘাটে কলকাতা পুরসভার তরফে কৃত্রিমভাবে জলাশয় তৈরি করে বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে হোসপাইপ দিয়ে ধুয়ে ফেলা হবে প্রতিমার রং। বিসর্জন শুরুর আগে দইঘাটে পরিদর্শনে যান কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।


দইঘাটে কলকাতা পুরসভার তরফে কৃত্রিমভাবে জলাশয় তৈরি করে বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে হোসপাইপ দিয়ে ধুয়ে ফেলা হবে প্রতিমার রং। বিসর্জন শুরুর আগে দইঘাটে পরিদর্শনে যান কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। গঙ্গার ঘাটে রাখা হয়েছে ক্রেন।  প্রতিমার কাঠামো দ্রুত তুলে নিয়ে যাওয়া হবে ধাপায়। বিসর্জন উপলক্ষে গঙ্গার ঘাটে রয়েছে পুলিশের কড়া নজরদারি। 


দশমীর সকালে গঙ্গার ঘাটে শুরু হয়েছে বিসর্জন পর্ব। করোনা আবহে রয়েছে নিয়মের কড়াকড়ি। মণ্ডপ থেকে সরাসরি প্রতিমা আনা হবে গঙ্গার ঘাটে। শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র ৩ জনকে ঘট বিসর্জনের জন্য গঙ্গায় নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নজরদারির দায়িত্বে রয়েছেন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসাররা। বাবুঘাট, গোয়ালিয়র ঘাট, আহিরীটোলা ঘাট, সর্বমঙ্গলা ঘাট-সহ ২৪টি ঘাটে বিসর্জন হবে। ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালাবে পুলিশ। রিভার ট্রাফিক পুলিশকেও সতর্ক করা হয়েছে। বোট নিয়ে নদী পথে নজরদারি চালাচ্ছে তারা। প্রতিটি ঘাটে মোতায়েন থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ঘাটমুখী রাস্তায় নজরদারির দায়িত্বে রয়েছেন ডেপুটি পদমর্যাদার অফিসাররা। 


আজ বিজয়া দশমী। সকালে বেলুড়মঠে হয় দশমী পুজো। রীতি মেনে ঘট বিসর্জনের পর দর্পণে হল দেবী দর্শন। সন্ধেয় মূল মন্দিরে সন্ধ্যারতির পর শুরু হবে নিরঞ্জনের প্রস্তুতি। আরতি, সিঁদুর খেলা, মিষ্টিমুখ, ধুনুচি নাচ এবং শেষে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে সন্ন্যাসী ও মহারাজদের শোভাযাত্রা, জয়ধ্বনি দিয়ে দেবীকে নিয়ে গিয়ে শ্রীশ্রীমায়ের ঘাটে বিসর্জন দেওয়া হবে। করোনা আবহে বেলুড় মঠে গোটা বিসর্জন পর্বই ভক্তশূন্য থাকছে।



এবার উমার শ্বশুরবাড়ি ফেরার পালা৷ আনন্দে উচ্ছ্বাসে মিশেছে বিষণ্ণতার সুর৷ আর কিছুক্ষণ পরেই মণ্ডপে শুরু হবে দেবী-বরণের প্রস্তুতি৷ আসছে বছর আবার আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আজ দেবী পাড়ি দেবেন কৈলাসে৷ এরপর হবে সিঁদুর খেলা, কোলাকুলিতে শুভেচ্ছা বিনিময়, মিষ্টিমুখ৷ হাসি মুখে মাকে বিদায় জানিয়ে আরও একটা বছরের অপেক্ষা৷ বিসর্জনের জন্য গঙ্গার ঘাটে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ এখন শুধু দু’চোখ ভরে মাকে দেখে নেওয়া আর ঢাকের তালে বলে ওঠা, আসছে বছর আবার এসো মা৷