কলকাতা: নাকতলা উদয়ন সংঘ থেকে চেতলা অগ্রণী। মহালয়াতেই একের পর এক পুজো উদ্বোধন হল মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে। করোনা আবহে, মণ্ডপে দর্শক প্রবেশে নিষোধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট। তবে তাতে, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে উত্তেজনার কমতি নেই।


নাকতলা উদয়ন সংঘে পুজো উদ্বোধনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আকাশের মুখভার! তবে তাতে, আটকাচ্ছে না শারদোৎসবের উৎসাহ-উন্মাদনা। মহালয়ায় পিতৃপক্ষের অবসান হতেই, বঙ্গে বাজল পুজোর বাদ্যি। দক্ষিণ কলকাতায় একের পর এক পুজো উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


বুধবার বিকালে নাকতলা উদয়ন সংঘ দিয়েই পুজো উদ্বোধনের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। দেশভাগের যন্ত্রণার ছবি, এবার ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে মণ্ডপে। পুজোয় আনন্দ করার পাশাপাশি করোনা নিয়ে সাবধানবাণীও শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। তিনি বলেন, ''সবাই পুজোয় ঘুরবেন। কিন্তু মাস্ক পরে বাড়ি থেকে আসতে হবে।  দু’বার ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও করোনা হচ্ছে। মাস্ক না থাকলে পুজো উদ্যোক্তারা দিয়ে দেবেন।'' করোনা আবহে দুর্গাপুজোর ছাড়পত্র মিললেও, মণ্ডপে দর্শক প্রবেশে অনুমতি দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। ভিড় এড়াতে খোলামেলা মণ্ডপ তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ মেনে সেলিমপুর পল্লির বাঁশের মণ্ডপ হয়েছে দেখে, উদ্বোধনে এসে খুশি হন মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়।


এদিন বাবু বাগান দুর্গোৎসব কমিটির পুজো উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাদের এবারের থিম লাইব্রেরি। যোধপুর পার্কের, ৯৫ পল্লি অ্যাসোসিয়েশন ও যোধপুর পার্ক শারদীয় উৎসব কমিটি দুটি পুজোতেই এবার থিমের ছোঁয়া। দুই মণ্ডপেই এদিন পুজোর উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৯৫ পল্লির পুজোর থিম ‘অস্তিত্ব’-র মাধ্যমে যখন পুজো উদ্যোক্তারা ফুটিয়ে তুলছেন কৃষকদের জীবন সংগ্রাম, তখন যোধপুর পার্কের অন্য পুজোর থিমে উঠে এসেছে আজব সাক্ষাৎ। যে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে ছোটদের কথা ভেবে। একে করোনা আবহ, তার ওপর পুজোয় বৃষ্টির ভ্রুকুটি। তবে সব বিপদই কেটে যাবে, আশাবাদী পুজো উদ্যোক্তারা। পুজোর দামামা যে বেজেই গেল।


আরও পড়ুন: চুঁচুড়ায় তর্পণ লকেটের, শেওড়াফুলিতে তর্পণ সারলেন বেচারাম