ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: এলগিন রোডের (Elgin Road) হত্যাকাণ্ডে কতজন আততায়ী জড়িত? যে আততায়ী ব্যবসায়ীকে খুন করেছিল, সে-ই কি মুক্তিপণের টাকা নিয়েছিল? নাকি দু’জন আলাদা লোক? খুনের কারণই বা কী? তদন্তে নেমে এসব প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।


এলগিন রোডের (Elgin Road)  হত্যাকাণ্ডে আততায়ী একজন না দু’জন? খুনিই কি ব্যবসায়ীর পরিবারের থেকে মুক্তিপণ নিয়েছিল? নাকি দু’জন আলাদা লোক? আততায়ী বা আততায়ীরা কোথায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে? 


তদন্তে নেমে এসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ। মঙ্গলবার এলগিন রোডের গেস্ট হাউস থেকে ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্যর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ (Kolkata Police) সূত্রে দাবি, এক তরুণের সঙ্গে, তাঁর আঙ্কল পরিচয়ে ওই গেস্ট হাউসে গেছিলেন ব্যবসায়ী।


রাত দশটা নাগাদ গেস্ট হাউস থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় ওই তরুণকে। তারপর আর কাউকে সেখানে ঢুকতে দেখা যায়নি।  আর মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের দাবি, তারা রাত সোয়া দশটা নাগাদ, ভিক্টোরিয়ার (Victoria) কাছে ট্যাক্সিতে, একজনকে মুক্তিপণের ২৫ লক্ষ টাকা দেন। 


তদন্তকারীদের প্রশ্ন, যে তরুণের সঙ্গে শান্তিলাল বৈদ্য গেস্ট হাউসে গেছিলেন, অর্থাৎ রাত দশটা নাগাদ যাকে গেস্ট হাউস থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়, সে-ই কি তারপর ভিক্টোরিয়ার কাছে গিয়ে মুক্তিপণের টাকা নেয়? 


পুলিশ সূত্রে দাবি, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, গেস্ট হাউস থেকে বেরিয়ে, অভিযুক্ত তরুণ আশুতোষ মুখার্জি রোডে যায়। তারপর সেখান থেকে পার্ক স্ট্রিট হয়ে ধর্মতলার দিকে এগোয়। 


ভিক্টোরিয়ার সাউথ গেটের কাছে যে ট্যাক্সিতে মৃত ব্যবসায়ীর পরিবার টাকা ভর্তি ব্যাগ রেখেছিল, তার চালককে পুলিশ বুধবার ও বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, ট্যাক্সিচালক দাবি করেছেন, তাঁর ট্যাক্সিতে যে ছিল, তাকে তিনি আশুতোষ মুখার্জি রোড থেকে তোলেননি। তবে ভিক্টোরিয়া থেকে ওই তরুণকে তিনি হাওড়ায় নামান। 


তাহলে অভিযুক্ত আসলে কতজন? একজন না দু’জন? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, তাঁরা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন, এই খুনের কারণ কী? মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার পরও ব্যবসায়ী শান্তিলাল বৈদ্যকে কেন খুন করা হল? অভিযুক্তরা কোথায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে?