কলকাতা: ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেবের পর এবার গ্রেফতার ভুয়ো IPS! পুলিশ সূত্রে দাবি, রাজর্ষি ভট্টাচার্য ওরফে বাবাই নামে ওই ভুয়ো আইপিএসকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়ির চালককেও। জানা গিয়েছে, নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরতেন নিজেকে আইপিএস অফিসার পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, NIA-তে স্পেশাল মিশনে রয়েছেন বলে দাবি করতেন অভিযুক্ত রাজর্ষি। অভিযোগ, এক ব্যক্তিকে পুলিশ কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ২ লক্ষ টাকা চায় ভুয়ো আইপিএস। যাঁর কাছে টাকা চাওয়া হয়, তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। এর পরই তদন্তে নেমে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। 


কসবায় ভুয়ো IAS দেবাঞ্জনের ঘটনা সামনে আসতেই একের পর এক ভুয়ো আমলা আর ভুয়ো আধিকারিকের হদিশ মিলেছে রাজ্যে। ভুয়ো আইএএস থেকে শুরু করে ভুয়ো সিবিআই অফিসার, ভুয়ো আইনজীবী, ভুয়ো মানবাধিকার কর্মী। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে একাধিক অভিযুক্ত। শহরে নীলবাতি গাড়ির অপব্যবহারের ছবিও দেখা গিয়েছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে নীলবাতি ব্যবহারের একাধিক ঘটনা সামনে আসতে থাকে। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে নীলবাতি লাগানো গাড়ি পাকড়াও করে পুলিশ।  


সেসব দিক মাথায় রেখেই সম্প্রতি গাড়িতে বাতি লাগানো নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে পরিবহণ দফতর। নির্দেশ বিপর্যয় মোকাবিলা ও জরুরি পরিষেবায় নিযুক্তদের গাড়িতে নীলবাতি-লালবাতি নয়, লাগাতে হবে মাল্টিকালার বাতির প্যানেল। এখন থেকে গাড়িতে তিনরঙা বাতি ব্যবহার করবেন তাঁরা। রাজ্য পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নীলবাতির বদলে ব্যবহৃত হবে লাল-নীল-সাদা, মাল্টিকালারের প্যানেল। পুলিশের পাইলট কারে যেমনটা থাকে।


প্রশাসনের তরফে প্রকাশিত এই তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের সমস্ত মন্ত্রী, মুখ্য সচিব সহ শীর্ষ সচিবরা। রয়েছেন ডিজি, এডিজি, এসপি সহ শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক এবং ডিএম, পুর-কমিশনারের মতো প্রশাসনিক কর্তারা। তবে এই তালিকায় নেই রাজ্যপাল, বিচারপতিসহ ভিভিআইপিরা এই তালিকা অন্তর্ভুক্ত নন। রাজ্যপাল, বিচারপতিদের ক্ষেত্রে পুরনো নির্দেশিকাই বহাল থাকছে বলেই জানিয়েছেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।


উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই বরানগরে ভুয়ো সিবিআই অফিসার পরিচয়ে জাল নিয়োগপত্র বানিয়ে ৪০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বরানগর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি  কলকাতা পুরসভার ফুড ইন্সপেক্টর পরিচয় দিয়ে প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগে পাকড়াও হন আরও এক ব্যক্তি। তাঁকে গ্রেফতার করে ভবানীপুর থানার পুলিশ।